বিনোদন

এবার ভাইরাল হলো ভ্রু কাঁপানো প্রিয়ার ছবি

প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়র। বর্তমানে ইন্টারনেট সেনসেশন তিনি। তার ভ্রু কাঁপানো দৃশ্য ইউটিউব কাঁপিয়েছে। ভাইরাল হয়েছে তার চুমুর ভিডিও। এবার তার একটি ছবি ভাইরাল হলো। যে ছবি দেখলে প্রিয়াকে চিনতে একটু বেগ পেতে হতে পারে।

Advertisement

সম্প্রতি ফেসবুকে প্রকাশ হয় একটি ভিডিও ক্লিপ। সেখানে একটি হাস্যোজ্জ্বল মুখের কিশোরীর চোখ ঘুরে যায় এক হাস্যোজ্জ্বল কিশোরের দিকে। বিগলিত কিশোর সুকৌশলে নিজের হাসামাখা মুখে এক চোখের ভ্রু নাচিয়ে দেয়। নিমিষেই ওই কিশোরী প্রথমে এক ভ্রু পরে দ্বিতীয় ভ্রু সুনিপুণভাবে নাচিয়ে দেয়। রীতিমতো বিস্ময়কর। এরপর ওই কিশোরও একইভাবে নিজের দুই ভ্রু নাচিয়ে দেয়। এরপর মেয়েটির কর্মকাণ্ডে অবাক হবার পালা। মেয়েটি হাসিমুখে চোখ টিপে দেয়। ছেলেটি প্রেমমাখা লজ্জায় মুখ লুকালেন বন্ধুর কাছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও। এ কয়েক সেকেন্ডেই যেন বলা হয়ে গেল না বলা অনেক কথা।

প্রিয়ার ভ্রু কাঁপানো ভিডিওটি দক্ষিণী সিনেমার একটি গানের অংশ। ৩ মার্চ মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সেই ছবির নাম ‘ওরু আদার লাভ’। ছবিটি পরিচালনা করছেন ওমর লুলু। গানটির শিরোনাম ‘মাণিক্য মালারায়া পুভি’।

এরপর ভাইরাল হয় তার আরেকটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, তারা ক্লাসে বসে আছে আলাদা আলাদা বেঞ্চিতে। ম্যাডাম ব্ল্যাকবোর্ডে লিখছেন। সেদিকে মন নেই তাদের। একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছেন। হঠাৎ মেয়েটি তার দুই আঙুল এক করে চুমু খায়। তারপর সেটি বন্দুকের গুলি মারা ভঙিতে ছুঁড়ে দেয় ছেলেটির দিকে। ছেলেটি বুকে গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়ার মতো ভঙি করে বন্ধুর উপর পড়ে যায়। মেয়েটির মুখে তখন মায়াবানীর হাসি।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ভিডিওটিও দক্ষিণী সিনেমা ‘ওরু আদার লাভ’র টিজার। আগের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় প্রিয়া প্রকাশ ও তার প্রেমিক চরিত্রের রোশানকে সামনে রেখেই ছবিটির টিজার ছেড়েছে ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এই ছবিটি পরিচালনা করছেন ওমর লুলু।

প্রথম ভিডিওটির জন্য এক যুবক প্রিয়ার নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। বুধবার ভালোবাসা দিবসে ওই যুবক তার অভিযোগে দাবি করেছেন, প্রিয়া ধর্ম অবমাননা করেছেন।

ভারতের হায়দরাবাদের ফলকনামা থানায় মুকিত খান নামের এক যুবক অষ্টাদশী এ অভিনেত্রীর নামে থানায় অভিযোগ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, প্রিয়ার সাড়া ফেলা মালয়ালাম গানের অর্থ জানার জন্য মুকিত গুগলে সার্চ করেছিলেন। তার দাবি, ইংরেজি অর্থ দেখে মনে হয়েছে, গানটি মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে।

জেডএ/পিআর

Advertisement