দেশজুড়ে

এবার লাঙলের জোয়াল কাঁধে পড়বে : গ্র্যাজুয়েটদের রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে বর্তমান সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এরই ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ এর পথচিত্র অনুসরণ করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলেছে। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন যুদ্ধে জয়লাভের জন্য কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন অপরিহার্য।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, এবার লাঙলের জোয়াল কাঁধে পড়বে। এতদিন বাবার টাকায় চলেছো এখন আর তা চলবে না, এবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।

সময় স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে বেশি কিছু বলার নেই। তার ওপর গ্র্যাজুয়েটদের মুখও দেখতে পারছি না। একটি গান আছে- দূরের মানুষ কাছে আসুক। এ গান গাইলেও আমার কাছে আসতে পারবে না, আমিও তোমাদের কাছে যেতে পারবো না।

Advertisement

নিজেকে হাওর এলাকার মানুষ পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আজকে যারা গোল্ড মেডেল পেয়েছে তাদের মধ্যে দুজন হাওর এলাকার লোক। আমি নিজেও হাওর এলাকার। আমি যেহেতু আসছি তাই হাওর একটু বেশিই পেল। আমরা বৃদ্ধ জঞ্জাল। আমরা চলে গেলে তোমরা দেশকে আরও সুন্দরভাবে চালাতে পারবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও স্থিতিশীলতা সংরক্ষণে কৃষির ভূমিকা আজও মুখ্য। সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈরিতা মোকাবেলা করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ধান, গম, ভুট্টা, সবজি, মাছ ,মাংস, ডিম ও দুধ উৎপাদনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে এগিয়ে চলেছে। এটি সম্ভব হয়েছে সরকারের বাস্তবমুখী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন উপলক্ষে আজকের এ আনন্দঘন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। সমাবর্তন একটি প্রতীকী অনুষ্ঠান। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক সাধনা ও সিদ্ধির সঙ্গে সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষর মেলবন্ধন ঘটে থাকে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান যুগ হচ্ছে বিশ্বায়ন ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির যুগ। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ বিশ্ব ব্যবস্থায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তার আপন বৈশিষ্ট্য নিয়ে টিকে থাকতে হলে তার স্থানিক, জাতিক ও বৈশ্বিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। এটি সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব প্রাতিষ্ঠানিক উপযোগিতা, মান ও আন্তর্জাতিক চারিত্র্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে।

Advertisement

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. ফরাস উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শাহি আলম।

ছামির মাহমুদ/আরএআর/আইআই