ক্রিকেটে পরিসংখ্যান আর রেকর্ডের ছড়াছড়ি। তকে কিছু কিছু রেকর্ড আছে, যা অবশ্যই সবার নজর কাড়ে। এই যেমন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর সৌম্য সরকার যেভাবে মার-মার কাট-কাট ব্যাটিং শুরু করলেন, তাতে সম্ভাবনাই দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের স্কোর ২০০ কিংবা তার কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
Advertisement
সৌম্য বিদায় নেয়ার পর বড় স্কোরের স্বপ্ন কিছুটা ফিকে হলেও মুশফিকুর রহীম আর মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আবারও সেই সম্ভবনা উঁকি মারে। সে সঙ্গে পরিসংখ্যানের খাতা খুলে বসে যায় সবাই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ কত রানের! এই পরিসংখ্যান ঘেঁটে বের করা খুব কঠিন নয়।
অর্ধযুগ আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেছিল। ২০১২ সালের ১৮ জুলাই বেলফাস্টে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংস ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের। ওই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৭১ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এরপর ২০১৩ সালে ঢাকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৯, একই বছর পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮১ রানের ইনিংসও খেলেছিল টাইগাররা; কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গিয়ে যে সর্বোচ্চ ইনিংসটা খেলেছিল, সেই বাধা যেন আর টপকাতে পারছিল না।
Advertisement
অবশেষে সেটা টপকানো গেলো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতেই ১৯৩ রানের বিশাল স্কোর গড়লো বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। মজার বিষয় হলো, এই ম্যাচেই ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম এবং সৌম্য সরকার।
মুশফিকুর রহীম এর আগে একটি হাফ সেঞ্চুরি করতে পারলেও সৌম্যর তো তাও ছিল না। টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকের এর আগে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৫০ রানের। আজ সেটাকে ছাড়িয়ে গিয়ে মুশফিক করলেন অপরাজিত ৬৬ রান। ৪৪ বলে খেলা এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চার এবং ১ ছক্কায়।
সৌম্য সরকারের এর আগে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৪৮। এবার সেটাকে ছাড়িয়ে গিয়ে তিনি ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরির মালিক হলেন। ৩২ বলে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায়।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭৪ রান তাড়া করার রেকর্ড রয়েছে। ১৯৩ রান তাড়া করতে গিয়ে কতদুর যেতে পারে তারা সেটাই দেখার বিষয়।
Advertisement
আইএইচএস/জেআইএম