রাজধানীর মিরপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মনির উদ্দিন মনু ওরফে মনু হাজী হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, মো. মিন্টু, মাসুদুর রহমান ওরফে তোতা ওরফে তোতলা মাসুদ, লিটন হোসেন ওরফে লোটাস ওরফে নুরুজ্জামান, মো. নোমান ইবনে বাসার ওরফে বাবু ওরফে টিভিএস বাবু।
নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি মাহমুদুর রহমান ওরফে সোহেল, হাসান সারোয়ার ওরফে মো. জিকুর মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপর আসামি জাহানারার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রয়েছে।
এ মামলার আসামি সোহেল, জিকু,লিটন ও টিভিএস বাবু কারাগারে আছেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহাদতসহ বাকিরা পলাতক।
Advertisement
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম ও অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন।
এর আগে, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মিরপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মনির উদ্দিন মনু ওরফে মনু হাজী হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতসহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে এক নারী আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় দেন।
Advertisement
পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং নিম্ন আদালতের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। আসামিদের করা আপিল ও ডেথরেফান্সের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এ রায় দেন।
জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিরপুরের ৪৯/৩ শাহ আলীবাগের বাসার সামনে মিলাদ মাহফিলের তবারক বিতরণ শেষে বসে থাকা অবস্থায় মনির উদ্দিন মনুকে অস্ত্রধারী আসামিরা পরপর আট রাউন্ড গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
শাহাদাত ও মিন্টু তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী মনুর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। তা না পেয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে উল্লেখ করে ওইদিনই নিহতের ভাই মো. আকবর আলী রাজধানীর মিরপুর থানায় এ মামলাটি করেন।
এফএইচ/এআরএস/আইআই/জেআইএম