ওয়ানডেতে বাঘা বাঘা দলগুলোকে হারিয়ে সিরিজ জিতলেও টাইগাররা টেস্টে ছিল নখদন্তহীন। একই দল, খেলোয়াড় একই, শুধুমাত্র ফরম্যাটের পরিবর্তের কারণে কেন ফলাফলে এমন আকাশ-পাতাল পার্থক্য! কিন্তু এবার সময় এসেছে পরিবর্তনের। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এমনটিরই মনেহয় আভাস দিলেন মুস্তাফিজ-জোবায়েররা। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে মুশফিকরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে মাত্র ২৪৮ রানে। টেস্টে বাংলাদেশ আগে কখনো এমন স্বপ্নিল দিন অতিবাহিত করেছে কিনা তা তর্ক-বিতর্ক হতে পারে। শুধুমাত্র বাংলাদেশ কেন, টেস্ট ইতিহাসেই এমন ঘটনা বিরল-র্যাংঙ্কিংয়ের ৯ নম্বর দলের কাছে এক নম্বর দল নাস্তানাবুদ, প্রথম দিনেই!ওয়ানডেতে দারুণ ধারাবাহিক বাংলাদেশ। শেষ ২০ ম্যাচের মধ্যে জয় এসেছে ১৫টিতেই। কিন্তু টেস্টে বাংলাদেশ কেন যেন পেরে উঠছিল না।তবে ধীরে ধীরে টাইগাররা নিজেদের সামর্থ্য সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন বলেই হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে টেস্টে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন।টেস্ট ক্রিকেট ১৫ সেশনের খেলা। এখানে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হয় প্রতিটি সেশনেই। এর মধ্যে অন্তত ৭-৮ সেশনে আধিপত্য বিস্তার করতে পারলে জয় না পেলেও ড্র অনিবার্য।বাংলাদেশ প্রথম দিনের তিন সেশনের মধ্যে দুই সেশনেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে। অথচ প্রথম সেশনে পাত্তাই পায়নি মুশফিকরা, ২৮ ওভারে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।দক্ষিণ আফ্রিকাকে আড়াই`শর নিচে অলআউট করে টাইগাররা এখন যেন স্বপ্নকাতুর! চট্টগ্রামের `তক্তমার্কা` ব্যাটিং উইকেটে প্রথম দিনই দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের ১০ উইকেট নেওয়া তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। ইতিবাচক ভাবনাটা প্রসারিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এখনো বাকি চার দিন তথা ১২ সেশন। অনেক কিছুই ঘটতে পারে।এএইচ/পিআর
Advertisement