জাতীয়

পানি সম্পদ খাতে ব্যয় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা

বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে শুষ্ক মৌসুমে যমুনা থেকে পানি আনার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এ খাতে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ১২৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগামী ২০২০ সালের জুন নাগাদ শেষ হবে এই কাজ।

Advertisement

বুধবার জাতীয় সংসদে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এ তথ্য জানান। একই সঙ্গে মন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার বিগত সাড়ে ৮ বছরে পানিসম্পদ খাতে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। চলতি অর্থবছরে আরো ২১টি প্রকল্প শেষ হবে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে পানিসম্পদ মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর আওতায় নিউ ধলেশ্বরী, পুংলী, বংশাই ও তুরাগ নদী খননের মাধ্যমে যমুনা নদী থেকে শুষ্ক মৌসুমে ২৪৫ কিউসেক পানি প্রবাহ নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে ১৪১ কিউসেক পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করা হবে। মন্ত্রী বলেন, এর ফলে শুষ্ক মৌসুমে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং পানির দূষণের মাত্রা হ্রাস পাবে।

একই দলের মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের জবাবে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) এ মন্ত্রী বিগত সাড়ে ৮ বছরে পানি সম্পদ খাতে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের পানি সম্পদের সার্বিক উন্নয়ন, যথাযথ ব্যবহার ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার পরিকল্পা ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করার পাশাপাশি বন্যা পূর্বাভাস, সতর্কীকরণ ও নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ, নদী ভাঙ্গন রোধ ও নদ-নদীর নাব্যতা রক্ষা, উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ, ভূমি পুনরুদ্ধার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং হাওড়-বাওড়ের উন্নয়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।

Advertisement

মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত আট বছরে ৫৩৩ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ করা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে ৯০২ বাঁধ। মেরামত বা সংস্কার করা হয়েছে আরো ২ হাজার ৫৯৪টি। সারা দেশে তৈরি করা হয়েছে ৯৪৮টি হাইড্রোলিক স্ট্রাকচার। খনন করা হয়েছে ১৭৫ কিলোমিটার সেচ ও ৪৭৮ কিলোমিটার নিষ্কাশন খাল। একই সময়ে ড্রেজিং ও পুনঃখনন করা হয়েছে ৮৯৬ কিলোমিটার নদী। নির্মাণ করা হয়েছে ৯৮টি ক্লোজার, ৪৭টি ব্রিজ ও কালভার্ট এবং ৩২ কিলোমিটার রাস্তা। ড্রেজিং সক্ষমতা বাড়াতে কেনা হয়েছে ৭টি ড্রেজার। এই সাড়ে ৮ বছরে সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে নতুন ১ দশমিক ৮৫ লক্ষ হেক্টর জমি, আর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন সুবিধার আওতা ৩ দশমিক ৮৩ লক্ষ হেক্টর বেড়েছে।

এইচএস/ওআর/জেআইএম