কোনো কিছুই কি বাদ রাখবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? তার বিরুদ্ধে এবার আইনজীবীর টাকা লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিতর্কেই ফের ট্রাম্পের সঙ্গে জড়িয়ে গেল পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলস ওরফে স্টেফানি ক্লিফোর্ডের নাম।
Advertisement
ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবি করেছেন, ট্রাম্প ও ক্লিফোর্ডের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। তার পরে ক্লিফোর্ডকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। অবশ্য তখনও প্রেসিডেন্ট হননি এই মার্কিন ধনকুবের। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প কোহেনকে অনুরোধ করেছিলেন, যাতে কোহেন ট্রাম্পের হয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দেন।
বাংলাদেশি অর্থমূল্যে যা আট কোটি টাকারও বেশি! ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন কয়েকদিনের মধ্যেই সেই টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু শেষ অবধি সেই টাকা আর দেননি।
কোহেন বলেছেন, ‘সরাসরি যাতে নাম না জড়ায়, সেজন্যই ট্রাম্প নিজে টাকা দেননি। আমাকে এগিয়ে আসতে হয়েছিল। কিন্তু তারপরে আমাকে টাকা শোধ না করাটা দারুণ অনৈতিক। আমি চাইব, যত দ্রুত সম্ভব টাকা ফিরে পেতে।’
Advertisement
ট্রাম্প ও ক্লিফোর্ডের সম্পর্ক নিয়ে কিছুদিন আগেই বেশ উত্তাল হয়ে উঠে মার্কিন রাজনীতি। ২০০৬ সালে একটি গলফ টুর্নামেন্টে দেখা হয়েছিল ট্রাম্প ও স্টেফানির। তখন ট্রাম্পের বয়স ৭১, স্টেফানির ৩৮।
সেখানেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন তারা। পরে ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার সময় স্টেফানিকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য টাকা দেন ট্রাম্প। পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ।’
কিন্তু চারদিন পরই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সাবেক পর্নস্টার স্টেফানি বলেন, ট্রাম্পের কর্মচারীর কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন।’ অনেকেই মনে করছেন স্টেফানির ইঙ্গিত কোহেনের দিকে। স্টেফানি স্বীকার করেন, ‘হ্যাঁ, শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল।’ এই পর্নস্টারের দাবি অনুযায়ী, ট্রাম্প যৌনতায় একদমই সক্ষম নন।
বিশেষ করে আমি যেভাবে পর্নতারকাদের সঙ্গে যৌনতায় মেতেছি, ট্রাম্প তার ধারে-কাছেও পৌঁছাতে পারেননি। অবশ্য একজন বয়স্ক ব্যক্তির কাছ থেকে এরচেয়ে বেশি আশাও করা যায় না।’
Advertisement
শুধু তাই নয়, স্টেফানি আরও জানিয়েছিলেন, যৌন সম্পর্কের পরে ট্রাম্প নাকি তাকে বলেছিলেন, ‘তোমাকে অনেকটা আমার মেয়ের (ইভাঙ্কা ট্রাম্প) মতো লাগে।’ ২০০৬ সালে ট্রাম্পের ছোট ছেলে ব্যারনের জন্ম দিয়েছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া। স্টেফানির দাবি, ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, সেই সময় দীর্ঘদিন মেলানিয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল না। এ কারণেই স্টেফানির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ট্রাম্প।
এসআইএস/আইআই