পৈশাচিক নির্যাতনে সিলেটের কুমারগাঁওয়ে কিশোর সামিউল আলম রাজনের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা দুলাল ও ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-৩ এর বিচারক আনোয়ারুল হকের আদালতে তারা এ জবানবন্দি দেয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার আদালতের বরাত দিয়ে জানান, দুলাল তার জবানবন্দিতে বলেছে, কামরুল ও ময়না চৌকিদার তাকে মোবাইল করে ডেকে আনে। আর এ সময় বলা হয়, চোর ধরা হয়েছে চোরকে দেখে যেতে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দুলাল দেখতে পায় রাজনকে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে কামরুল ও ময়নাসহ অন্যরা মারধর করছে। চোরকে বেঁধে রাখা হয়েছে শুনে সেও রাজনকে সামান্য মারধর করে।এদিকে, ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে সুরঞ্জিত তালুকদার জানান, কামরুলের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নূর মিয়া। এরপর কামরুল মারধরের ভিডিওচিত্র ধারণ করতে বললে তিনি তার নোকিয়া ই-৬৩ মডেলের মোবাইল দিয়ে ভিডিও রের্কড করে। পরে ওই ভিডিওটি তার ফেসবুকে আপলোড করে।সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) আব্দুল আহাদ জানান, দুলাল আহমদ ও নূর মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা দুইজনই নির্যাতনের সঙ্গে নিজেদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে।এর আগে গত সোমবার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ময়না মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে ময়না খুনের দায় কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিত ও পাভেল নামের আরেক যুবকের ওপর চাপানোর চেষ্টা করে। তবে নির্যাতনের আগে তিনি রাজনকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারা ও মোবাইলে কামরুলদের ডেকে আনার কথা স্বীকার করেন।প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই শহরতলীর কুমারগাঁওয়ে চোর অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করা হয় ১৩ বছরের শিশু রাজনকে।ছামির মাহমুদ/এআরএ/এমআরআই
Advertisement