গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নানকে আরো একটি মামলায় ফের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার একটি বিস্ফোরক মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। তিনি বর্তমানে কারা হেফাজতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারজানা খানমের আদালতে পুলিশ জয়দেবপুর থানার একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের (৪০(১২)১৩) মামলায় তাকে গ্রেফতারের আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে সিটি কর্পোরেশনের বড়বাড়ি এলাকায় সাংবাদিক বহনকারী একটি মাইক্রোবাস ও একটি লেগুনায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিক এম এ ফরিদ বাদী হয়ে এম এ মান্নান, ফজলুল হক মিলনসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং বিএনপির অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আবুল হাসেমের দেয়া ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ঘটনার সঙ্গে অধ্যাপক এম এ মান্নান সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়। তাই তাকে গ্রেফতারের জন্য আদালতের কাছে নির্দেশ চাওয়া হয়।মেয়র মান্নানের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যাড. মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্স জানান, অধ্যাপক এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা ছিল। মঙ্গলবার বেলা একটা পর্যন্ত সবগুলো মামলায়ই হাইকোর্ট জামিন দেন তাকে। সকল মামলায় জামিন হওয়ার পর নতুন আরো একটি মামলা হওয়ায় এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা হলো।উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয় মেয়র মান্নানকে। পাঁচটি মামলায় কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। এর মধ্যে দু’টি মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।অধ্যাপক এম এ মান্নানের অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে ভারপ্রাপ্ত মেযর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গত ৮ মার্চ থেকে গাসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কিরণ। আমিনুল ইসলাম/এআরএ/পিআর
Advertisement