আইন-আদালত

নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম জজকে দুই মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

ত্রুটিপূর্ণ মিটার ও বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল-সংক্রান্ত ২০০৬ সালের একটি মামলা আগামী দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজকে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

Advertisement

তিতাস গ্যাসের বিল সংক্রান্ত এক মামলার বিষয়ে তলবে মঙ্গলবার হাজির হয়ে নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম জেলা জজ শফিকুল ইসলাম সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ তাকে অব্যাহতি দিয়ে দুই মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির করার নির্দেশ দেন।

আদালতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আবদুর রহিম। অপর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।

মেসার্স এমএকিউ পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল উল আলম এবং তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাহনাজ আক্তার।\

Advertisement

পরে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, তিনি (যুগ্ম জেলা জজ) এসে ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন, ওই কর্মস্থলেও তিনি বেশি দিন ধরে নয়। এরপরও ক্ষমা চেয়েছেন। এরপর আদালত তাকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বেঞ্চ তাকে তলব করেছিলেন।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের দাবি করা ১২ মাসের বিল অবৈধ ঘোষণা চেয়ে মেসার্স এমএকিউ পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নিম্ন আদালতে ২০০৬ সালে মামলা করে। এতে মাসে তিন লাখ টাকা করে বিল পরিশোধের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। এই আবেদন ২০০৭ সালের ১৫ মার্চ নিম্ন আদালতে খারিজ হলে হাইকোর্টে আসে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৮ সালের ৪ জুলাই হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে প্রতি মাসে ১৭ লাখ টাকা করে বকেয়া ও সাড়ে সাত লাখ টাকা করে নিয়মিত মাসিক বিল পরিশোধ করতে বলা হয়। সেই সঙ্গে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে মামলাটি (বিল অবৈধ ঘোষণা চেয়ে করা) নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। কোনো ধরনের মূলতবি ছাড়া ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর মামলাটি নিষ্পত্তি করতে যুগ্ম জেলা জজ ও অতিরিক্ত আদালত নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ লিভ টু আপিল করে। লিভ মঞ্জুরের পর তারা নিয়মিত আপিল করে। যে আপিলের শুনানিতে যুগ্ম জজকে তলব করেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী মো. আবদুর রহিম জানান, ২০০৮ সালের ৪ জুলাই হাইকোর্টের দেয়া রায়ে ওই বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে যুগ্ম জেলা জজকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মামলাটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। শুনানিকালে এটি নজরে এলে আপিল বিভাগ ওই মামলার (টাইটেল স্যুট ১৪৪/২০০৬) নথিসহ ওই বিচারককে ১৩ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Advertisement

এফএইচ/আরএস/এআরএস/এমএস/আইআই