‘বসন্ত বাতাসে সই গো, বসন্ত বাতাসে… বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে গো, বসন্ত বাতাসে।’ সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা) চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুল তলায় নির্মিত নান্দনিক মঞ্চ থেকে এ গানের পংক্তিগুলো ভেসে আসছিল।
Advertisement
মঞ্চের সামনে বাসন্তি শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরিহিত নারী-পুরুষদের কেউ দাঁড়িয়ে কেউবা বসে গান শুনে গুনগুন করে গানের কলিগুলো আওড়াচ্ছিলেন। কেউবা আবার মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছিলেন। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ভিড় বাড়তে থাকে।
আজ পহেলা ফাল্গুন, ক্ষণ গণনায় শীত ঋতুকে বিদায় জানিয়ে বসন্ত ঋতুর প্রথম দিন। দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও পালন করা হচ্ছে। জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘এসো মিলি প্রাণের উৎসবে’ শ্লোগানে চারু কলার বকুল তলায় চলছে এ বসন্ত উৎসব।
কাক ডাকা ভোর থেকেই বিভিন্ন বয়সী দেশি-বিদেশি নারী-পুরুষরা বসন্ত উৎসবে যোগ দিতে চারুকলায় আসতে থাকেন। মেয়েরা বাসন্তি শাড়ি, চুলের খোঁপায় কিংবা মাথায় ফ্লাওয়ার ব্যান্ড আর ছেলেরা বাসন্তি পাঞ্জাবি পড়ে চারুকলার এ বসন্ত উৎসবে যোগ দিয়েছেন।
Advertisement
কলাবাগানের বাসিন্দা গৃহবধূ লায়লা বলেন, চারুকলার বসন্ত উৎসবে যোগ দিতে প্রতি বছর সাত-সকালে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসি। যান্ত্রিক নগরীতে এ ধরনের উৎসবের আনন্দ মনে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। পুরনো ঢাকার লালবাগের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়ে যায়। তাই স্ত্রী ও ছয় বছরের মেয়েকে নিয়ে সকালেই চারুকলায় চলে এসেছি। ছোট বেলায় বাবা-মার হাত ধরে এসেছি আর এখন সন্তানকে নিয়ে আসছি।
এভাবেই বংশ পরম্পরায় বাঙালি জাতির উৎসবে যোগ দিয়ে সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এমইউ/আরএস/এমএস
Advertisement