রাঙ্গামাটিতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপায়ন চাকমার ওপর সন্ত্রাসী হামলার জেরে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্য দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যার পর শহরের বনরূপা, হ্যাপির মোড়, জজ আদালত প্রাঙ্গণ, কলেজগেটসহ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
Advertisement
এদিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ এবং পুলিশ সুপার ও কোতোয়ালি থানার ওসিকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার রাঙ্গামাটিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে জেলা ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের অভিযোগ- তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের নির্দেশে বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। হামলায় ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন আহত হয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুপায়ন চাকমাকে কুপিয়ে আহত করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনার জন্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় রাস্তা অবরোধ করে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। এতে পুলিশ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২০-৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
Advertisement
অন্যদিকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া -পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা প্রায় ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এতে শহরে সব ধরনের যান চলাচল এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ অন্ত অর্ধশত আহত হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন বলেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের নির্দেশে এ হামলা চালায় পুলিশ। তিনি এ ঘটনার দায়ে পুলিশ সুপার এবং কোতোয়ালি থানার ওসি সত্যজিৎ বড়ুয়াকে প্রত্যাহারসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/আরএআর/আইআই
Advertisement