বসন্ত হাওয়ায় খুলবে দুয়ার। বসন্ত রং রাঙাবে প্রাণ। বসন্ত সাজে সাজবে প্রাণের মেলাও। অমর একুশে বইমেলায় দিনভর চলবে প্রাণে প্রাণে রংমেলান্তি খেলা। আর এদিন থেকেই মেলার আঙিনা বদলে যাবে। পাঠক, লেখক, প্রকাশক যেন এ দিনটিকেই মাহেন্দক্ষণ জানে।
Advertisement
ফাগুনের উদাস হাওয়ায় বাঁধন ছিঁড়েছে প্রাণ। বাঁধন ছেঁড়া প্রাণ তাই উড়ু উড়ু। ফাগুনের অগ্নি ধারায় আপনকেও হারাবে মন। হারানো মন ঘুরবে ফাগুন রাঙা যেন বনে বনে। আর রাজধানীর মধ্যখানে আয়োজিত বইমেলাকেই মনের বন মানবে সবাই। বইয়ের প্রেম রূপ নেবে প্রকৃতিপ্রেমে।
মেলায় আসা তরুণ-তরুণেরা সাজবে বাসন্তীরূপে। হলদে শাড়িতে আর খোপায় গুঁজে রাখা ফুলে ফুলেই ললনারা প্রকাশ করবে ফাগুনের জয়গান।
ষড় ঋতুর বাংলায় বসন্তের রাজত্ব একেবারে প্রকৃত সিদ্ধ। ঋতুরাজ বসন্তের বর্ণনা কোনো রংতুলির আঁচড়ে শেষ হয় না। কোনো কবি-সাহিত্যিক বসন্তের রূপের বর্ণনায় নিজেকে তৃপ্ত করতে পারেন না। তবুও বসন্ত বন্দনায় প্রকৃতিপ্রেমীদের চেষ্টার যেন অন্ত থাকে না।
Advertisement
ফাগুনের এমন দিনে প্রকৃতি সাজবে তার নতুর রূপে। গাছে গাছে ফুল ফুটুক আর নাই-বা ফুটুক, বসন্ত তার নিজ রূপ মেলে ধরবেই। ফাগুনের আগুনে, মন রাঙিয়ে বাঙালি তার দীপ্ত চেতনায় উজ্জীবিত হবে। যে চেতনার ঝলক মিলবে বইমেলাতেও।
সময় প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ। বলেন, আমরা প্রকাশকরা মূলত এ দিনটার জন্যই অপেক্ষা করি। সাধারণত মেলা মধ্য সময় থেকেই জমে ওঠে। আর বসন্ত বরণ এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবস দিয়েই শুরু হয় বই মেলার মধ্য সময়।
তিনি বলেন, বই তো আনন্দ জোগায়। বসন্ত উৎসব বাঙালিয়ানায় নির্মল আনন্দের বিশেষ আয়োজন। আমরাও বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে থাকি এ দিনটিকে ঘিরে। মেলার আয়োজক এবং লেখকরাও এ দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, বইমেলাতেও বসন্ত নামে। সম্প্রতি বছরগুলোতে অন্তত তাই চোখে পড়েছে। এ দিনে মেলায় আসা সবার মধ্যেই বসন্ত বরণের বিশেষ আবেগ লক্ষ্য করা যায়। আমাদের প্রস্তুতিও থাকে অন্যদিনের থেকে একটু আলাদা। বেচা-কেনার ধুম পড়ে মূলত এদিন থেকেই।
Advertisement
এএসএস/এমআরএম/আরআইপি