ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যয় কমানো ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের বর্ধিত সব ধরনের ট্রেড লাইসেন্স ফি ও করের হার কমানোর দাবি করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। মঙ্গলবার ডিসিসিআই মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।এর আগে চলতি বছরের ২ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের সব ধরনের ট্রেড লাইসেন্স ফি ও কর বাড়ানো হয় যা ইতোমধ্যেই কার্যকর করেছে সরকার।ঢাকা চেম্বার বলেছে, নতুন করে সিটি কর্পোরেশন ফি ও কর বৃদ্ধি করা হলেও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারো সঙ্গেই আলোচনা করা হয়নি। তাছাড়া জুন মাসের পূর্বে এ প্রজ্ঞাপন জারি করায় বাড়ির মালিকদের গত বছরের বকেয়াসহ অতিরিক্ত কর গুণতে হবে। এ ধরনের আকস্মিক অতিরিক্ত কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ডিসিসিআই নিন্দা জানাই।নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ট্রেড লাইসেন্স ফি বাড়ছে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে পূর্বের নির্ধারিত হোল্ডিং কর ১২ শতাংশের পরিবর্তে ২৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর নির্দিষ্ট হারে কর দিতে হবে। লিমিটেড কোম্পানির মূলধন অনুযায়ী বার্ষিক দেড় হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ পূর্বের হারের চেয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা কর বাড়ানো হয়েছে। সকল আমদানীকারকদের ক্ষেত্রে কর এক হাজার টাকার পরিবর্তে তিন হাজার টাকা ও রফতানিকারকদের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করা হয়েছে।ঢাকা চেম্বার মনে করে, নতুন বর্ধিত কর হারে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, সারচার্জ আরোপ করা হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। তাদের মতে এখনো আধুনিক নগর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই কর বৃদ্ধির আগে উন্নত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।এছাড়াও সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক অস্থিরতার দরুণ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হন যা এখনো তারা পুষিয়ে উঠতে পারেনি। এমতাবস্থায়, ঢাকা চেম্বার মনে করে বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স, সারচার্জ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপিত করের হার পূর্বের ন্যয় বহাল রাখা সমীচীন হবে।এসআই/বিএ/এমআরআই
Advertisement