মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে মাঝ আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে বেঁচে গেছে দুই যাত্রিবাহী বিমান। শেষ মুহূর্তের তৎপরতায় বাঁচানো গিয়েছে কয়েকশো প্রাণ। এত বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েও অবশেষে বিমানের যাত্রীদের নিরাপদে রাখতে পেরেছেন পাইলটরা। সে সময় দুই বিমানে ২৬১ জন আরোহী ছিলেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
Advertisement
গত ৭ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের আকাশে মুখোমুখি এসে পড়ে ভিস্তারা ও এয়ার ইন্ডিয়ার দু’টি বিমান। বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা সূত্রের খবরে জানানো হয়েছে, ওইদিন দু’টি বিমানের মধ্যে উচ্চতার তফাত ছিল মাত্র একশো মিটার। আর দুর্ঘটনার কয়েক সেকেন্ড আগের মুহূর্তে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরত্বে ছিল বিমান দু’টি। ঠিক সেই সময় ট্র্যাফিক কলিশন অ্যাভয়ডেন্স সিস্টেমের (টিকাস) মাধ্যমে সঙ্কেত যায় দুই বিমানের পাইলটদের ককপিটে। পাইলটরা শেষ মুহূর্তে দুই বিমানের গতিপথ ঘুরিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ান।
এর আগে ১৯৯৬ সালে হরিয়ানায় মাঝ আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল দুই বিদেশি বিমানের। মারা গিয়েছিলেন ৩৪৯ জন। দুই বিমানের কাউকেই বাঁচানো যায়নি।
বুধবার রাত আটটায় ভিস্তারার বিমান এ-৩২০ নয়াদিল্লি থেকে পুণাতে যাচ্ছিল। একই সময় এয়ার ইন্ডিয়ার এয়ারবাস এ-৩১৯ মুম্বাই থেকে ভোপাল যাচ্ছিল। ২৭ হাজার ফুট উচ্চতায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ছিল। অন্য দিকে ভিস্তারার বিমানটি নেমে এসেছিল ২৭ হাজার ১শ ফুট নিচে। মুম্বাইয়ের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সূত্রে জানানো হয়েছে, তারা ভিস্তারার বিমানটিকে ২৯ হাজার ফুট দিয়ে যেতে বলেছিল। কিন্তু সেটি কী ভাবে ২৭ হাজার ফুটে নেমে এলো তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু ভিস্তারার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের পাইলটকে ২৭ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়েই সেই সময় যেতে বলা হয়েছিল। বিমান সংস্থার বক্তব্য, যাত্রী আর কর্মীদের নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পাইলটরা সে দিন ওই দুর্ঘটনা এড়াতে এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) মেনেই কাজ করেছেন।
Advertisement
দু’সপ্তাহের মধ্যে মহারাষ্ট্রের আকাশে এ ধরনের ঘটনা দু’বার ঘটল। গত ২৮ জানুয়ারি, নাগপুরের আকাশে ইন্ডিগো এবং এমিরেটসের দু’টি বিমানও ন্যূনতম দূরত্বের মাত্রা লঙ্ঘন করেছিল বলে জানানো হয়েছে।
টিটিএন/এমএস