জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এক নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রোববার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাসের বাইরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
Advertisement
মারধরের শিকার মো. আফফান আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ৩৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তিনি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শাখা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকতের অনুসারী।
মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ৪২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী বাসু দেব মজুমদার (রসায়ন বিভাগ), ৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য আসিফ (পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ), ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুল (রসায়ন বিভাগ), মামুন (গণিত বিভাগ), ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী সুপ্ত (পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ), মেহেদী (দর্শন বিভাগ), ইয়াসিন (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ) ও জিম (পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের রাস্তার বিপরীত পাশ থেকে আফফানকে জোরপূর্বক ক্যম্পাসের ভেতরে এনে বাঁশ ও লাঠি-সোঠা দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মারধরের ফলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয় ও রক্ত পড়তে থাকে। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা উদ্ধার করে এনাম মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন।
Advertisement
মারধরের শিকার আফফান আলী বলেন, আমি সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য বিভাগে গিয়েছিলাম। আমাকে দেখে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী ধাওয়া করে। আমি ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পরও তারা আমাকে জোরপূর্বক ক্যাম্পাসের ভেতরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে।
মারধরকারী বাসু দেব মজুমদার বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছিলাম সে ক্যাম্পাসে নাশকতা করতে ককটেল নিয়ে এসেছিল। তাই তাকে মারধর করে তার নাশকতার চেষ্টা বানচাল করি।’
তবে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি হামলাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গণধোলাই দেয়া হবে।’
হাফিজুর রহমান/এফএ/জেআইএম
Advertisement