জাতীয়

কেন্দ্র থেকে হলে যাওয়ার সময় প্রশ্নফাঁস হয় : দাবি ডিবির

পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে হলে যাওয়ার সময়টাতে অসাধু কেউ এসব প্রশ্নের ছবি তুলে ফাঁস করে বলে দাবি করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন।

Advertisement

শনিবার দিনভর অভিযানে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ১৪ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি। এ বিষয়ে রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানায় ডিবি।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আবদুল বাতেন বলেন, আসামিরা পরীক্ষার আগের দিন ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করে। পরেরদিন পরীক্ষা শুরুর ৩০-৪০ মিনিট আগে কেন্দ্র থেকে বিভিন্নভাবে প্রশ্ন সংগ্রহ করে। সেগুলো ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ইমো এবং হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে এগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয়। এর বিনিময়ে তারা বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা আদায় করে।

তিনি বলেন, প্রশ্ন যখন পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে হলে যায় ওই সময়টাতে কেউ এর ছবি তুলে আসামিদের পাঠায়। এই সময়টা পরীক্ষার ৩০-৪০ মিনিট আগে। এই সময়ের আগে যেসব প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কথা শোনা যায় সেগুলো ভুয়া প্রশ্ন। তৃণমূল পর্যায় থেকে অর্থাৎ পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে কারা প্রশ্নের ছবি তুলে ফাঁস করছে, কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে যাওয়া খুব কঠিন।

Advertisement

আসামিরা হচ্ছেন মো. রাহাত ইসলাম, মো. সালাহউদ্দিন, মো. সুজন, মো. জাহিদ হোসেন, মো. সুফল রায় ওরফে শাওন, মো. আল-আমিন, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. আবির ইসলাম নোমান, মো. আমান উল্লাহ, মো. বরকত উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, মো. শাহাদাৎ হোসেন ওরফে স্বপন, ফাহিম ইসলাম এবং তাহসিব রহমান।

এদের মধ্যে আমান উল্লাহ, আহসান উল্লাহ এবং বরকত উল্লাহ ৩ ভাই। তারা প্রতিদিন ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করেছে। আহসান সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।

তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ এবং ২৩ টি স্মার্টফোন এবং ২ লাখ ২ হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

আসামিরা যাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করছে সুনির্দিষ্টভাবে কারো নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা শত শত হাজার হাজার চেইন। কখনো চট্টগ্রাম থেকে প্রশ্ন পাঠানো হয়, কখনো আরেক জেলা থেকে। তাদের শনাক্ত করা কঠিন।

Advertisement

সম্পতি একটি পরীক্ষার প্রশ্ন সেদিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ফাঁস হয়েছে। তদন্তে ৩০-৪০ মিনিট আগে ফাঁসের তথ্য পাওয়া গেলে এতো আগে প্রশ্ন কীভাবে ফাঁস হল? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস রোধের পরামর্শ দেন আবদুল বাতেন। তিনি বলেন, শুধু শিক্ষার্থী নয়, পরীক্ষার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিটি কর্মকর্তার মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় শিক্ষা বোর্ড কিংবা মন্ত্রণালয়ের কারও সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এপর্যন্ত তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

এআর/এমবিআর/পিআর