ধর্ম

মুসলিম নারী-পুরুষের পোশাকে সতর্কতা

সামাজিকতা, সাধারণ অভ্যাস ও জাতীয় বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে বিজাতীয় পন্থা অনুসরণ ও অনুকরণ করা মুসলিম উম্মাহর জন্য মাকরূহ তাহরিমি। অমুসলিম সম্প্রদায় যে সব পোশাক তাদের ধর্মীয় প্রতীক ও বৈশিষ্ট্যরূপে ব্যবহার করে থাকে; সে সব বিষয়ে তাদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা অপসংস্কৃতিরও অন্তর্ভূক্ত।

Advertisement

হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যদি কেউ ভিন্ন ধর্মাবলম্বী জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে; তবে সে ঐ জাতির অন্তর্ভূক্ত বলে গণ্য হবে।’ (আবু দাউদ)

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন আনন্দ-উৎসব বা উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে অনেক মুসলমান অন্যদের প্রতীক বা আদর্শকে নিজেদের মধ্যে লালন করে থাকে। হাদিসের পরিভাষায় এ সবকে মারাত্মক অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। তা থেকে বিরত থাকা ঈমানের একান্ত দাবি।

উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে- খ্রিস্টানদের টুপি, হিন্দুদের ধুতি এবং বৌদ্ধদের গেরুয়া কাপড়েরর তৈরি পোশাক। এ ধরনের পোশাক পরিধান করা মুসলমানদের জন্য ইসলামি শরিয়তে নিষিদ্ধ।

Advertisement

আবার পুরুষের জন্য নির্ধারিত বিশেষ পোশাক মহিলাদের পরিধান এবং মহিলাদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ পোশাক পুরুষদের পরিধান করা সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। হাদিসে পাকে এসেছে-হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,‘নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে সব নারী-পুরুষকে লানত করেছেন, যে সব নারী পুরুষের পোশাকের অনুসরণ করে; আবার যে সব পুরুষ মহিলাদের পোশাক অনুসরণ করে।’ (আবু দাউদ)

পরিশেষে…ইসলাম মানুষকে শালীন ও সুন্দর পোশাকে উদ্বুদ্ধ করে। মানুষের মধ্যে নারী-পুরুষের সৃষ্টিগত যেমন অনেক বৈশিষ্ট্য আলাদা। ঠিক পোশাক-পরিচ্ছদেও তাদের রয়েছে ভিন্নতা। প্রত্যেকেরই উচিত তাদের বৈশিষ্ট্যের দিকে লক্ষ্য রেখে পোশাক-পরিচ্ছদের দিকে নজর দেয়া। প্রত্যেকেরই উচিত রুচিসম্মত মার্জিত পোশাক পরিধান করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্দর ও উত্তম পোশাক পরিধানে সুন্নতের অনুসরণ ও অনুকরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আইআই

Advertisement