জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডাদেশকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে তার নিজস্ব গতিতেই চলতে দেওয়া উচিত। অন্যদিকে এ নিয়ে পুলিশ কিংবা অন্যকোনো রাজনৈতিক শক্তির বাড়াবাড়ির কোনো সুযোগ নেই। জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাতে সবার দায়িত্বশীল আচরণ করাই হবে সমীচীন।
Advertisement
উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ রায় দেন।
এ রায়কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রায় নিয়ে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হতে পারে- এমন উদ্বেগ-শঙ্কা আগে থেকেই ছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। ফলে কোথাও পরিস্থিতি খুব একটা খারাপের দিকে যেতে পারেনি।
মামলাটি চলেছে ১০ বছর ধরে। বিবাদীপক্ষকে সব ধরনের আইনি সুযোগ দেয়া হয়েছে। এরপরও আইনি লড়াইয়ের সুযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় রাজপথ উত্তপ্ত না করে আইনি সুযোগ নেয়াটাই হবে যথার্থ। রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানামাত্রিক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। আর এর সুযোগ নেয় দুর্বৃত্তচক্র। তাই সকল পক্ষকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
Advertisement
গণতন্ত্রের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে আইনের শাসন। আইনের চোখে সবাই সমান। আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়াই উচিত। জাতীয় স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে এ ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
এইচআর/জেআইএম