এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার নিয়ে বাজি ধরেছিলেন মারুফুল হক। সেই বাজিতে তাকে জেতালেন শিষ্যরা। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া চট্টগ্রাম আবাহনীকে ফাইনালে ২-০ গোলে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ঘরোয়া ফুটবলে ক্লাবটির জেতা প্রথম ট্রফিটিকে তাই ক্যারিয়ারসেরা বলেছেন দেশের অভিজ্ঞ এ কোচ।
Advertisement
পেশাদার ফুটবল লিগ চালু হওয়ার পর একমাত্র ট্রেবলজয়ী কোচ মারুফুল হক। ২০১২-১৩ মৌসুমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে তিনটি ট্রফি জেতানো এ কোচ কেন ক্যারিয়ারসেরা বলছেন এবারের স্বাধীনতা কাপের সাফল্যকে?
ম্যাচের পর সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘বড় বড় দলের হয়ে ইতিপূর্বে ৯টি চ্যাম্পিয়ন ও ৫টি রানার্সআপ ট্রফি জিতেছি। তখন আমার ছিল জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড়; কিন্তু এবার চ্যাম্পিয়ন হলাম একটা তরুণ দল নিয়ে। এখানে নিজের মত কাজ করতে পেরেছি। পেছন থেকে সবসময় কর্মকর্তারা নজর রাখতেন। তাই কাজটা সহজ হয়েছে। এই প্রথম তরুণদের নিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে জিততে পারলাম।’
২০০৮ সালে মোহামেডানের ডাগআইটে দাঁড়িয়ে বড় ক্লাবে অভিষেক হয়েছিল মারুফুল হকের। কয়েকটি বড় ক্লাবের দায়িত্ব পালনের পর এবার তিনি হাল ধরেছিলেন মিডিওকার দল আরামবাগের। পুরোপুরি অনভিজ্ঞ একটি দলকে তিনি পরিণত করেছেন ধীরে ধীরে। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে তার দল ভালো করতে পারেনি বলে এ পর্যায়ে রেলিগেশনের শঙ্কাও দেখা দিয়েছিল; কিন্তু দ্বিতীয় পর্বের ১১ ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে থেকে শেষ করেছে প্রিমিয়ার লিগ।
Advertisement
মারুফুল হক শেষ হাসি হেসেছেন তার শিষ্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে। তরুণ ফুটবলাররা তার প্রতিটি নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে অনেক খুশি আধুনিক কোচ মারুফুল। আগের দিন ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেদের ফেভারিট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। শনিবার মাঠেও প্রমাণ করলেন, তারাই সেরা।
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম