জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বর্ণিল ক্যারিয়ারে শতাধিক নাটকেও অভিনয় করেছেন। জীবন সায়াহ্নে এসে গুণী এ অভিনেত্রী এখন বেকার! তার হাতে কোনো কাজ নেই। শুধু তাই নয়, অসুস্থ হয়ে বাসায় দিন পার করছেন।
Advertisement
খালেদা আক্তার কল্পনার ডান চোখে গ্লুকোমা, রেটিনায় রক্তপাত আর কর্নিয়ার আলসার থেকে ইনফেকশন হয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শুধু বাম চোখ দিয়ে দেখছেন। ঢাকায় চিকিৎসা নেয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য চেন্নাই থেকে ছানি অপারেশনও করিয়েছেন তিনবার। এরপর কলকাতার শঙ্কর নেত্রালয়ে প্রতি চার মাস পর চিকিৎসা করালেও ডায়াবেটিস থাকায় এ চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। যেটি ব্যয়ভার তিনি বহন করতে পারছিলেন না। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্য কামনা করেছিলেন। অবেশেষে সাড়া পেলেন তিনি।
খালেদা আক্তার কল্পনাকে ১০ লাখ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি গণভবনে এ অভিনেত্রীর হাতে আর্থিক অনুদানের টাকা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। পাশাপাশি স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা কাজী হায়াৎকেও ১০ লাখ টাকার অনুদান দেয়া হয়েছে।
খালেদা আক্তার কল্পনার মতো কাজী হায়াতও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন। তিনি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাদের চিকিৎসার জন্য গতকাল শুক্রবার গণভবনে অনুদানের চেক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
Advertisement
অনুদান পেয়ে উচ্ছ্বসিত কাজী হায়াৎ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০০৪ সালে আমি আমার হার্টে চারটা রিং পরাই। এরপর রিং ফেল করার পরে ২০০৫ সালে ওপেন হার্ট সার্জারি করি। এখন সেটা আবার ব্লকড হয়ে গেছে। ডাক্তার ধারণা করেছেন এক থেকে একাধিক ব্লকড হয়েছে। এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিলাম। তিনি মহানুভব। আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আমাদের আরেক সহযোদ্ধা খালেদা আক্তার কল্পনাকেও সাহায্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রী দলমত নির্বিশেষে সাহায্য করে থাকেন। তিনি দেশের সত্যিকারের অভিভাবক।’
এছাড়াও জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার গণভবনে কবি, সমাজকর্মী সরদার আবুল কালাম আজাদ ও সিলেটের মদন মোহন কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী মো. নুরুল আমিনকেও অনুদানের চেক প্রদান করেন।
এলএ/এমএস
Advertisement