ঈদের ছুটি শেষে খুলেছে ব্যাংক, বিমা, অফিস, আদালত। তাই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে ফিরছেন কর্মব্যস্ত নগরী ঢাকায়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে রাজধানী ফেরা কর্মজীবী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তবে এবার ট্রেনের শিডিউলে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় না হওয়ায় সহজেই রাজধানীতে আসতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।এদিকে ভোর থেকেই ট্রেনের ভেতরে, বাইরে ছাদে যে যেভাবে পারছে ঢাকায় ফিরে আসতে দেখা গেছে যাত্রীদের। গত কয়েকদিন থেমে থেমে বৃষ্টিতে কমলাপুর স্টেশনের সামনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।এ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেল স্টেশনের সহকারী বাণিজ্যিক ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার আবু সাঈদ আহমেদ জাগো নিউজকে জানান, এবার ট্রেনের শিডিউলে তেমন কোনো বিপর্যয় হয়নি। তাই ট্রেন যথাসময়ে ঢাকা এসে পৌঁছাচ্ছে। যাত্রীদেরও তেমন কোনো অভিযোগ নেই। আর যাত্রীদের সুবিধার্থে সব ট্রেনে অতিরিক্ত বগি লাগানো হয়েছে।জানা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকালেই সারাদেশ থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরেছে কর্মজীবী মানুষ। ভোর ৫টা থেকেই রাজধানীর এয়ারপোর্ট ও কমলাপুর রেল স্টেশনে এসে পৌঁছায় নিয়মিত ট্রেন সার্ভিসগুলো। এভাবে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সারাদেশ থেকে আসতে থাকবে ট্রেনগুলো। এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ ঈদে ঢাকা ফেরার সময় টিকিট পেতে যেমন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তেমনি আসন পেতেও সমস্যায় পড়েছেন অনেকে।সিলেট থেকে আসা আব্দুল মালেক জানান, শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। তাই সঠিক সময়ে ঢাকায় পৌঁছেছি। ট্রেনে ভিড় ছিল। ঈদের সময় একটু ভিড় থাকবে এটাই স্বাভাবিক। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী কবির আহমেদ জানান, ঈদের ছুটি শেষ। জামালপুর থেকে এসেছি। এবার ট্রেনের শিডিউল ঠিক ছিল। কিন্তু ভেতরে বাজে অবস্থা। পথে টিকিট ছাড়া যাত্রীর ওঠানামায় ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। ব্যাগ মালামাল নিয়ে আসতে খুব সমস্যা হয়েছে। স্টেশনের সামনে পানি জমে থাকায় ২০ টাকা দিয়ে রিকসায় পাড় হতে হলো। এটি তো এক ধরনের ভোগান্তি, তাই না। কমলাপুর স্টেশনের সামনে জলাবদ্ধতা সম্পর্কে স্টেশন কর্মকতা জানান, বৃষ্টিতে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যাত্রীদের সুবিধার্থে ভেতর দিকে একটি গেইট খোলা আছে।এসআই/বিএ/পিআর
Advertisement