অর্থনীতি

ই-জিপির আওতায় ১ লাখ ৪৮ হাজার টেন্ডার

সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে ই-টেন্ডারিং কার্যক্রম দ্রুত বাড়ছে। চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার অধীনে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৫টি টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। কাগজবিহীন এসব টেন্ডারে ছিল প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতা। যা ক্রমেই সরকারের সব বিভাগে চালু করা হবে।

Advertisement

পরিকল্পনা বিভাগের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের আওতায় সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ই-জিপি (ইলেকট্রনিক্স গভর্মেন্ট প্রকিউরমেন্ট) পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, কাগজবিহীন দরপত্র প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে চলছে, বাড়ছে আওতা। শিগগিরিই সব সরকারি সংস্থায় ই-টেন্ডারিং চালু হচ্ছে। তবে কাগুজে টেন্ডারিংয়ের আমল এখনই শেষ হচ্ছে না। কেননা এখনও ১০০ কোটি টাকার বেশি দরপত্র ই-জিপিতে শুরু হয়নি। এটি শুরু হলে শতভাগ ই-টেন্ডারিং হবে।

এ পর্যন্ত সরকারের মোট ১ হাজার ৩০০ সংস্থার মধ্যে ই-জিপি প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে ১ হাজার ১৪৩টি। বাকি রয়েছে মাত্র ১৫৭টি সংস্থা। শিগগিরিই এসব সংস্থার রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে সব সরকারি সংস্থাই যুক্ত হবে এ প্রক্রিয়ায়।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিপিটিইউর মহাপরিচালক ফারুক হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ই-জিপির আওতা ক্রমেই বাড়ছে। এজন্য ই-জিপি ডাটা সেন্টারের কার্যকারিতাও বাড়ানো হয়েছে। শুধু তাই না উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার নিচের দরপত্র ই-টেন্ডারিংয়ের আওতায় এসেছে। কাগুজে টেন্ডারিংয়ের আমল তাই রয়েই গেছে। আস্তে আস্তে সব দরপত্রকেই ই-টেন্ডারিংয়ের আওতায় আনা সম্ভব হবে। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় সে লক্ষেই কাজ চলছে।

ই-জিপি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘরে বসেই দরপত্র সংক্রান্ত সব কাজ করতে পারছেন ঠিকাদাররা। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দরপত্রের প্রস্তাব, মূল্যায়ন, চুক্তি ব্যবস্থাপনা ও ই-পেমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট অনেক কাজই স্বল্প সময়ে, সহজে ও সমন্বিতভাবে করা সম্ভব হচ্ছে। দরপত্রের ক্ষেত্রে কমছে টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি ও অনিয়মও।

সিপিটিইউ সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতা হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার জন। আর নিবন্ধিত ব্যাংকের সংখ্যা ৪৪টি। তবে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র, বুদ্ধি সেবা (পরামর্শক) এবং ১০০ কোটি টাকার বেশি দরপত্র ই-জিপিতে আহ্বান করা হয় না। শিগগিরই এগুলোও ই-জিপিতে যুক্ত হচ্ছে। এ জন্য প্রমিত দরপত্র দলিল তৈরির কাজ শুরু করেছে সিপিটিইউ। সেই সঙ্গে চলছে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজও।

Advertisement

সিপিটিইউ জানিয়েছে, এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ২০০৭ সালে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রতি দরপত্রে অংশগ্রহণকারী দরদাতার গড় সংখ্যা ছিল ৪ জন। গত ৭ সেপ্টেম্বর সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪১ জনে। তা ছাড়া বেড়েছে সরকারি ক্রয় কার্যের দক্ষতাও।

এমএ/এমএমজেড/এমএস