মুস্তাফিজের আঘাতে দ্বিতীয় সেশনের পর তৃতীয় সেশনটাও নিজেদের করে নেওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে টাইগার শিবির। অভিষেক ম্যাচেই আমলা-ডুমিনিদের মত ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে ওয়ানডের মত টেস্টেও নিজের জাত চেনাচ্ছেন টাইগার এই বোলার। তৃতীয় সেশনের শুরুতে বল করতে এসে প্রোটিয়াদের স্কোর বোর্ড ১৭৩/৩ থেকে ১৭৩/৬ এ নিয়ে যান মুস্তাফিজ।এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান।
Advertisement
প্রথম দুই সেশনে কোন উইকেট না পেলেও তৃতীয় সেশনে চার বলে তিন উইকেট নিয়ে টাইগারদের খেলায় ফেরায় মুস্তাফিজ। ৫৯তম ওভারের প্রথম বলেই প্রোটিয়া অধিনায়ক আমলাকে (১৩) লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান। পরের বলে ডুমিনিকে(০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে অভিষেকেই হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে তরুণ এই বোলার। হ্যাট্রিক না পেলেও চতুর্থ বলে ডি কককে(০) বোল্ড করে টাইগারদের খেলায় ফেরান তরুণ এই তুর্কি।এর আগে সকালের সেশনটা নিজেদের করতে না পারলেও দ্বিতীয় সেশনে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এলগার-ডু প্লেসি জুটিকে ফেরান বাংলাদেশের স্পিনাররা।দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডু প্লেসিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান। তার নিচু হয়া বলে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে চাইলেও ব্যাট লাগাতে পারেননি ডু প্লেসি। তবে আউট হবার আগে ১২২ বলে ৫টি চারে ৪৮ রান করেন তিনি।এর আগের ওভারেই বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। উইকেটরক্ষন লিটন দাসের হাতে ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান ডিন এগলারকে। ১১১ বলে ৩টি চারে ৪৭ রান করেন এই ওপেনার। তবে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সাফল্য পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্টিয়ান ফন জিলকে ফিরিয়ে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। মাহমুদউল্লাহর বলে জিল ফ্লিক করতে গেলে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন লিটন দাস। ফিরে যাওয়ার আগে প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান করেন ৩৪ রান। তবে স্বাগতিক বোলারদের দেখেশুনে ব্যাট করে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম সেশনটি পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো শুরু এনে দেয় দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। আবহাওয়া ভালো থাকায় নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ৯টায় এ খেলা শুরু হয়েছে। তবে যেকোনো মুহূর্তে বৃষ্টি নামতে পারে।ওয়ানডে ক্রিকেটে সাম্প্রতিক ঈর্ষণীয় সাফল্য টেস্ট ম্যাচে অনূদিত করার প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে আজ মাঠে নেমেছে টাইগাররা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্বাগতিকদের টেস্ট রেকর্ড সুখকর নয়। বাংলাদেশ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলেছে সেই ২০০৮ সালে। এরপর সাতটা বছর পেরিয়ে গেছে। শেষ খেলা সেই দলটার অনেকেই এখন অনুপস্থিত। দুই দলের শেষ টেস্ট সাক্ষাতে বাংলাদেশের ইনিংস পরাজয়ের সাক্ষী সাকিব-তামিম-মুশফিক-ইমরুল। বিজয়ের সাক্ষী কেবল আমলা-স্টেইন-মরকেল।আরটি/এমআর/পিআর