খেলাধুলা

স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনাল শনিবার

দেড় যুগ আগে মারুফুল হক যখন প্রথম বিভাগের দল বাড্ডা জাগরনীর কোচ, তখন ওই দলের খেলোয়াড় ছিলেন জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। কোচিং ক্যারিয়ারেও মারুফুল হকের কাছে অনেক দীক্ষা নিয়েছেন মিন্টু। এক কথায় গুরু-শিষ্য সম্পর্ক তাদের। কিন্তু শনিবার স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে তারা একে অন্যের প্রতিপক্ষ।

Advertisement

জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু চট্টগ্রাম আবাহনীর এবং মারুফুল হক আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কোচ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মৌসুমের শেষ টুর্নামেন্টের ফাইনালটি শুরু হবে বিকেল ৪ টায়।

এক মৌসুম আগে চট্টগ্রাম আবাহনী যখন প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়ে মাঠে নেমেছিল, তখন তাদের শুরুটা হয়েছিল এই স্বাধীনতা কাপ জিতে। যেটা ছিল চট্টলার দলটির ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম বড় কোনো ট্রফি জয়। কিন্তু পরে আর শিরোপার মুখ দেখেনি তারা। শনিবার শেষ হতে যাওয়া এবারের মৌসুমে ফেডারেশন কাপের রানার্সআপ হওয়াই তাদের এ মৌসুমের বড় সাফল্য। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেছে তিনে থেকে।

চট্টলার দলটির সামনে এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের সুযোগ। শনিবার ফাইনাল জিতলে মৌসুমে একটা ট্রফি হাতে উঠবে তাদের। একই সঙ্গে স্বাধীনতা কাপের শ্রেষ্ঠত্বও ধরে রাখা হবে। ধারে-ভারে প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকা দলটি এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না। তারা শিরোপা ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর।

Advertisement

স্বাধীনতা কাপে বিদেশি ফুটবলার নেই। স্থানীয়রাই এখানে রাজা-বাদশা। দল বদল সামনে রেখে নিজেদের চেনানোর ভালো এক সুযোগ হয়েছে স্বাধীনতা কাপ।

তারুণ্য নির্ভর আরামবাগ ফাইনালে উঠেছে দাপট দেখিয়ে। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে হারিয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে, রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে সেমিফাইনালে। ফাইনালে তাদের সামনে লিগের তিন নম্বর দল চট্টগ্রাম আবাহনী। ফাইনাল জিতলে লিগের সেরা তিন দলকে পর পর তিন ম্যাচে হারানোও হয়ে যাবে মারুফুল হকের।

আরামবাগের জন্য ফাইনালটি অন্যরকম রোমাঞ্চের। এই প্রথম এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলছে তারা। ফেডারেশন কাপে ক্লাবটি তিনবার ফাইনালে উঠেও খুশি থাকতে হয়েছে ছোট ট্রফিটি নিয়ে। ঘরোয়া ফুটবলে বড় কোনো আসরে এখনো নিজেদের সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি তারা। এবার ইতিহাস গড়ার হাতছানি তাদের। স্বাধীনতা কাপের দুই ফাইনালিস্টের যে পারফরম্যান্স তাতে অনেকের চোখে আরামবাগই এগিয়ে আছে ফেভারিট হিসেবে।

টুর্নামেন্টে এটি দুই দলের দ্বিতীয় সাক্ষাত। একই গ্রুপে থাকায় ফাইনালের আগে একবার বোঝাপড়া হয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী ও আরামবাগের। সে ম্যাচটি হারতে হারতে ড্র করে টুর্নামেন্টে টিকে ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। এগিয়ে থাকা আরামবাগ শেষ মুহুর্তে গোল খেয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তিন দলের পয়েন্ট সমান হওয়ায়। কম হলুদ কার্ড পাওয়ায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে পেছনে ফেলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে আরামবাগ। ভাগ্যের পরশ নিয়ে গ্রুপ পর্ব টপকানো সেই দুই দলই টুর্নামেন্টের ফাইনালমঞ্চে।

Advertisement

আরআই/এমএমআর/আইআই