দেশজুড়ে

মাথায় হেলমেট, অস্ত্র হাতে এরা কারা?

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

Advertisement

সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষে গুলি বিনিময়ে অন্তত দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এ সময় দুই যুবককে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে অন্য পক্ষকে গুলি করতে দেখা যায়। তবে মাথায় হেলমেট পরা থাকায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

একটি সূত্র জানিয়েছে, অস্ত্রধারী এক যুবক ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার নাম মুনিম আহমদ। এ সময় তার হাতে একটি একনলা বন্দুক দেখা গেছে। এ অস্ত্রটি তার নিজের নামে লাইসেন্স করা। তবে অপর যুবকের পরিচয় জানাতে পারনি ওই সূত্র।

ছাত্রদল কর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলাকালে তারা এ অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামেন। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজন হচ্ছেন জেলা ছাত্রদল নেতা সৈয়দ মোস্তফা কামরুল। অন্যজনের নাম জানা যায়নি।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সিলেট জেলা পরিষদে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে আদালতপাড়ায় অবস্থান নেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

রায় ঘোষণার পরপরই বেলা আড়াইটার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপক্ষ অন্যপক্ষের বিরুদ্ধে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ সময় গুলি বিনিময়ও হয় পাল্টাপাল্টি। দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি জেলা ছাত্রদলের কর্মী মোস্তফা কামরুল। তার মাথায় গুলি লেগেছে। তিনি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত হয়েছেন পুলিশের এক সদস্য।

এদিকে, খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সামসুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিল নিয়ে নগরীর হকার পয়েন্ট এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে তারা। এ সময় তাদের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

Advertisement

পুলিশ সদস্যরা বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। রাজপথে পুলিশ টহল দিচ্ছেন। এছাড়া নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি গৌছুল হোসেন বলেন, কারা অস্ত্র ব্যবহার করেছে তাদের চিহ্নিত করতে তদন্ত করছে পুলিশ।

ছামির মাহমুদ/এএম/জেআইএম