দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা ৫৪ মিনিটে আদালতের এজলাসে প্রবেশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার গাড়িবহর পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসায় প্রবেশের আওয়াজে বিএনপির আইনজীবীরা উত্তরমুখী প্রবেশদ্বারের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় একজন নারীর হাত ধরে ভেতরে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। তার পরনে ক্রিম কালারের প্রিন্টেট শাড়ি, শাড়ির ওপর একই রঙের পাতলা চাদর।
Advertisement
এজলাসের সামনে রাখা চেয়ারের সামনে যেতেই ছুটে এলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং অন্যান্য সিনিয়র নেতারা। চেয়ারে বসে তিনি ভ্যানিটি ব্যাগ ও রোদচশমা খুলে রাখেন। এ সময় তাকে অনেকটা ভাবলেশহীন দেখা যায়।
২টা ১৫ মিনিটে বিচারক আসনে বসেন। তিনি প্রাইভেট সিকিউরিটি ফোর্স কেউ থাকলে বাইরে চলে যেতে বলেন। বিচারক বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় সম্পূর্ণ পড়তে অনেক সময় লাগবে তাই মূল কথাগুলো পড়ব। শুরুতে দুর্নীতির অভিযোগের কথা দিয়ে রায় পড়া শুরু করলে খালেদা জিয়া কখনও চেয়ারের হাতলে দুহাত রেখে আবার কখনও দুহাত একত্রে কোলে রেখে চোখ বন্ধ করে রায় শুনেন।
রায়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
Advertisement
দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার সাজা কমানো হয় বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ রায় দেন। মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের বিশেষ অংশ পাঠ করেন বিচারক।
এমইউ/জেডএ/আইআই
Advertisement