নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার হাবিবনগর এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে আওয়ামী লীগের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সুমন আহমেদ (৩০) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১নং ওয়ার্ডের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এছাড়া সাংবাদিক, পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
Advertisement
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ৫ শতাধীক রাউন্ড টিয়ারসেল ও গুলি বর্ষণ করে। এসময় পুরো এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটে এ ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে উপজেলার হাবিবনগর এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিক সমর্থিত নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।
অপরদিকে তাদের ৫০০ গজের মধ্যে স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতীক) সমর্থিত নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। সকাল ১০টা থেকেই উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিতে থাকে। এছাড়া এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
Advertisement
পরে পুলিশ উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এসময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশ প্রায় ৫ শতাধীক টিয়ারসেল ও শটগানের গুলি বর্ষণ করে। এতে সাংবাদিক পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক আহাম্মেদ জানান, আওয়ামী লীগের উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। আহত সুমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মীর আব্দুল আলীম/এফএ/পিআর
Advertisement