বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশজুড়ে। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে এর প্রভাব পড়েছে সবথেকে বেশি। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যানচলাচল একেবারে সীমিত হয়ে পড়েছে। দেশের ব্যস্ততম এ মহাসড়কে যানচলাচল না করার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জনসাধারণ।
Advertisement
যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্ট অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ ৪ স্তরের নিরাপত্তার জোরদার করা হয়েছে। আর সরকারি দফতরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সাভারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং যানবাহনগুলো থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল আরো কমে গেছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ অন্যান্য সড়কগুলোতে অনেকটাই ফাঁকা অবস্থা বিরাজ করছে।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান জানান, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে দেশে এক ধরনের ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে জনগণের যানমালের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
Advertisement
তবে রায়কে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত বিএনপি কিংবা অঙ্গ সংগঠনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। কিন্তু মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকালে সাংসদ ডা. এনামুর রহমানের নেতৃত্বে প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে মোটরসাইকেল মহড়া দিতে দেখা গেছে তাদের।
অপরদিকে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ২১ জেলার প্রবেশদ্বার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহর থেকেই রাজধানীর প্রবেশ মুখ মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে র্যাব ও পুলিশের টহল ও তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। তবে সকাল থেকেই এই মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক কিছুটা কম।
র্যাব-১১ মুন্সীগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার ও সহকারী পরিচালক মো. নাহিদ হাসান জনি জানান, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল অব্যাহত রয়েছে। কেউ যাতে মহাসড়কে নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত টহল অব্যাহত থাকবে।
শাহাদাৎ/মামুন/নুপুর/এফএ/পিআর
Advertisement