জাতীয়

আদালতের বাইরে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী

বকশীবাজার মোড় থেকে আলিয়া মাদরাসা মাঠমুখী রাস্তায় সাইরেন বাজিয়ে টহল দিচ্ছিল বিজিবি ও র‌্যাবের ডজন খানেক গাড়ি। একই রাস্তা দিয়ে বড় বড় বাস এসে থামছে রাস্তার মোড়ে টানানো নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজ লেখা বিশাল আকারের সাইনবোর্ডের পাশে। এ বাসগুলো থেকে দ্রুত নামছেন ইউনিফর্ম পরিহিত ও সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা পেয়ে তারা কারা সদর অধিদফতরের রাস্তায় হেঁটে রওনা দিচ্ছিলেন।

Advertisement

ক্যামেরা ক্লিক করতেই ছুটে এসে পরিচয় জিজ্ঞাসা করলেন দুই পুলিশ সদস্য। একজন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটসহ ইউনিফর্ম ও অপরজন সিভিল পোশাকে। এ প্রতিবেদক নিজের পরিচয় দিতে তিনি জানালেন, এখানে কোনো প্রকার ছবি বা ভিডিও করা যাবে না। কোনো কিছু করতে হলে ডিএমপির ডিসি’র (মিডিয়া) সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি নিজেকে লালবাগ থানার ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমান নামে পরিচয় দিলেন।

এ দৃশ্য আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টার। বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে আজ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারের রায় ঘোষণা উপলক্ষে কাকডাকা ভোর থেকেই আদালত প্রাঙ্গণের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।

ভোর সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সরেজমিনে আজিমপুর, নিউমার্কেট, পলাশী, লালবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বকশীবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায় এসব এলাকার রাস্তাঘাটে ও মোড়ে মোড়ে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। খালেদার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশদ্বার বন্ধ রাখা হয়েছে।

Advertisement

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে কর্তব্যরত এক আনসার জানালেন, গেট খোলা দেখে ভোরে কয়েকজন প্রাতঃভ্রমণকারী পার্কে প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশের বড় কর্মকর্তারা এসে তার সঙ্গে রাগারাগী করে এবং গেটে তালা ঝুলিয়ে দিতে বলেন। নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বাস থামিয়ে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।

পুরান ঢাকার খাজে দেওয়ানের এক বাসিন্দা জানান, তিনি সকাল বেলা মেয়েকে স্কুলে দিতে বের হন। বোর্ড অফিসের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দেখে মেয়ে ভয়ে কেঁদে ফেলে। তিনি বলেন, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যেন পুরান ঢাকায় কারফিউ চলছে।

এমউই/এমবিআর/এআরএস/আরআইপি

Advertisement