প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় নতুন ৬৮টি দেশসহ ১৬৫টি দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে। গত নয় বছরে ৫১ লাখ ৯৮ হাজার ৯১৪ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে ২০১৭ সালে গেছেন ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন। নতুনভাবে রাশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে গোলাম দস্তগীর গাজীর (নারায়ণগঞ্জ-২) প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
গ্যাসের উৎপাদন বেড়েছে ২ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটমো. নুরুল ইসমলাম ওমরের (বগুড়া-৬) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে গ্যাসের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমান সরকারের সময়ে মোট ১৪টি অনুসন্ধান কূপ, ৫২টি উন্নয়ন কূপ খনন এবং ২৫টি কূপের ওয়ার্কওভার সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া ১৬ হাজার ৬৬২ লাইন কিলোমিটার দ্বি-মাত্রিক সাইসমিক সার্ভে এবং ৪ হাজার ১০৬ বর্গ কিলোমিটার ত্রিমাত্রিক সাইসমিক সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় ৪টি নতুন সুন্দলপুর, শ্রীকাইল, রূপগঞ্জ এবং ভোলায় গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের ১ হাজার ১০১ কোটি টাকাউম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬১ জনকে ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, বিগত ১৯৯৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ পরিবারের মাসিক রাষ্ট্রিয় খাতে ১ হাজার ১০১ কোটি ৮২ লাখ ২১ হাজার ৬৪১ টাকা ব্যয় হয়েছে।
Advertisement
আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবেশীর সঙ্গে সমস্যা সমাধান সম্ভবএম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ এককভাবে উন্নতি ও সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে না। এজন্য প্রতিবেশী দেশসমূহের সহায়তা প্রয়োজন। ভারতের সঙ্গে ছিটমহল সমস্যা এবং ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমানার বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের মতো আবারো আমরা দেখিয়েছি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমস্যা যতই জটিল হোক না কেন, আলোচনার মাধ্যমে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ সমাধানে দেশে ব্লু ইকোনোমির বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত হয়েছে। আমরা ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রিয় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বেও প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড একই বহুমাত্রিক। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের লক্ষ্যে আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এইচএস/জেএইচ/আইআই
Advertisement