শীত বিদায় নিলেও রেখে যায় তার শুষ্কতা। তাই শুরু হয় চামড়ার টান টান ভাব আবার তা থেকে ত্বক ফেটে যাওয়ার সম্ভবনাও থাকে। এই ঋতুতে পুরো শরীরের চাই বিশেষ যত্ন। ত্বকের তারুণ্য হারিয়ে যাওয়ার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া। শুষ্ক ত্বকে কোন প্রাণ থাকে না। তখন ত্বক প্রাণহীণ মনে হয়। এর থেকে মুক্তির উপায় হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত।
Advertisement
আরও পড়ুন : পিরিয়ডের সময় কিছু করণীয়
এ সময় সানবার্ন খুব বেশি হয় এবং তা কেবল মুখে নয়, পিঠে ও হাত-পায়েও হয়। তাই সাথে রাখতে হবে সবসময় একটি ছাতা। সম্ভব হলে ব্যাগে সব সময়ের জন্য একটা ফেসওয়াশ রাখুন। বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তবে এজন্যে সানস্ক্রিন এর এসপিএফ এর মাত্রা ২০++ হওয়া উচিত।
ত্বকে অনেক সময় দাগ ও রিঙ্কেল দেখা যায়। এসব রোধ করতে, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। শাকসবজি, মাছ ও ফলমূল খেতে হবে বেশি। প্রচুর পানি খেতে হবে।
Advertisement
যাদের শুষ্ক ত্বক তারা এ সময় নিয়মিত গ্লিসারিন সাবান দিয়ে গোসল করবেন। গোসলের পর ভেজা শরীরে ভ্যাসলিন, লোশন বা এ ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকে আদ্রভাব বজায় থাকবে।
ত্বকের আরেকটি সমস্যা হলো চামড়া ঝুলে পড়া। চামড়া যাতে না ঝুলে যায় সেজন্য ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি অতি জরুরি। মুখে কিছুটা বিউটি অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। তাতে মুখের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। হারবাল চা পান করলেও রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। পাশাপাশি হাত, পা, গলা, ঘাড়সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও একইভাবে যত্ন নিন।
ধুলাবালি থেকে চুল রক্ষা করতে মাথায় স্কার্ফ বেঁধে রাখতে পারেন। নারকেল তেল ও জলপাইয়ের তেল একসঙ্গে গরম করে চুলে ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু করলে চুল হয় ঝরঝরে। এ ছাড়া চুলের বাড়তি যত্নে টক দই, কলা, পেঁপে দিয়ে ঘরে তৈরি প্যাক ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকে।
ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস জমা স্থানে গরম পানির ভাপ দিয়ে পাঁচ মিনিট পর ফ্লাকার দিয়ে নিজেই তুলে ফেলতে পারেন।
Advertisement
আরও পড়ুন : চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে করণীয়
এ সময় যারা নিয়মিত ঘরের বাইরে যান, তারা সময় পেলেই হাত-মুখে পানির ঝাপটা দেবেন। এসব কিছুর পাশাপাশি মাসে একবার ফেসিয়াল করলে ত্বক ভালো থাকে।
এইচএন/আরআইপি