ফুটবলে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ নতুন কিছু নয়। সিদ্ধান্ত মন:পুত না হলে মাঠে খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করেন, ডাগআউটে কোচ-কর্মকর্তারা হাত-পা ছোঁড়াছুড়ি করেন। তবে কোচকে মাঠের মধ্যে গিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্ক করতে কিংবা ধমক দিতে কমই দেখা যায়। তাতে নির্ঘাত লাল কার্ড, একাধিক ম্যাচ বহিষ্কার হওয়ার শঙ্কাও থাকে। ফুটবলের আইন তাই বলে।
Advertisement
মঙ্গলবার এমন অপরাধ করেও পার পেয়ে গেলেন রহমতগঞ্জের কোচ কামাল আহমেদ বাবু। তেড়ে মাঠের মধ্যে গিয়ে রেফারির সঙ্গে তর্ক করেছেন। কামাল বাবুর এমন কান্ডের পরও তাকে কার্ড পর্যন্ত দেখাননি রেফারি সুজিত ব্যানার্জী চন্দন।
রেফারির এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত জাতীয় ফুটবল দলের কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড। ঘটনার পরপরই তিনি ছুটে আসেন প্রেসবক্সে। সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওর্ড বলতে থাকেন, ‘রেফারি কেন রহমতগঞ্জের কোচকে লাল কার্ড দেখালেন না? কোচ তো মাঠের মধ্যে যেতে পারেন না। এর শাস্তি নির্ঘাত লাল কার্ড।’
চট্টগ্রাম আবাহনী ও রহমতগঞ্জের মধ্যেকার স্বাধীনতা কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ৩৮ মিনিটে এ অনাকাঙ্খিত এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম আবাহনীর একটি আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার হাত দিয়ে বল ঠেকানোয় পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি সুজিত ব্যানার্জী চন্দন। প্রতিবাদ করেন রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়রা। দৌঁড়ে গিয়ে সে প্রতিবাদে যোগ দেন দলটির কোচ কামাল আহমেদ বাবু। পরে দলের খেলোয়াড়রাই তাকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন।
Advertisement
কামাল বাবুকে সবাই মাঠের বাইরে নিয়ে আসলেও নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম। তিনি অহেতুক মাঠের পাশে এসে তর্ক শুরু করলে রেফারি তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মামুনুলকে তুলে নেন। মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় মামুনুল রহমতগঞ্জের কোচের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
আরআই/এমএমআর/আইআই