আইন-আদালত

নিজাম হাজারীর পদ নিয়ে রিটের শুনানি নতুন বেঞ্চে

ফেনী-২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি কয়েক আদালত ঘুরে এখন আবার একটি নতুন একক বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

Advertisement

গত ৩০ জানুয়ারি সর্বশেষ বিব্রত হওয়ার পর মামলায় জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করার জন্য (০৫ ফেব্রুয়ারি) সোমবার নতুন একক বেঞ্চ ঠিক করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সে হিসেবে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চে মামলাটি কার্যতালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সত্য রঞ্জন মন্ডল।

এর আগে হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চ এই রিট শুনতে ব্রিবত বোধ করেন। তার আগে ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি ফরিদ আহমেদের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এ মামলার শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। এরপর সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারি বিব্রত হয় হাইকোর্টের একক বেঞ্চ।

সর্বশেষ হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের একক বেঞ্চ রিট শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। এটাই নবমবার হাইকোর্টের বিব্রতবোধ।

Advertisement

আাদলতে ওই দিন রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মণ্ডল। অন্যদিকে নিজাম হাজারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন।

এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি এ রিটের ওপর শুনানি শুরু হয়েছিল। শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় পর পর ৯ বার বিব্রতবোধ করেন আদালত।

নিজাম হাজারীর কারাভোগ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে ২০১৪ সালে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন দাখিল করা হয়। অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।

এ রিট আবেদনে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট এক আদেশে ফেনী-২ আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ৬ ডিসেম্বর দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন।

Advertisement

রায়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকা অবৈধ ঘোষণা করেন। আর কনিষ্ঠ বিচারপতি সংসদ সদস্য পদে থাকা বৈধ ঘোষণা করেন। দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের একক বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।

এফএইচ/এআরএস/জেআইএম