শুরু বেলার যে রূপ, এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ভিড়ছে পাঠক, ভিড়েনি ক্রেতা। মেলা শুরুর মধ্য সপ্তাহ গড়ালেও বিকিকিনি ঠিক জমে ওঠেনি বইমেলায়। বইমেলায় হাজারো দর্শনার্থীর মিলন ঘটছে শুরুর দিন থেকেই। তবে ঢিমেতাল রয়েছে বেচাকেনাতে।
Advertisement
সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ। বলছিলেন, ‘মেলার শুরুর দিনগুলো তো এমনই হয়। অন্য আর দশটি মেলার সঙ্গে বইমেলা মেলানো যায় না। আর বই বিক্রিই তো মেলার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। বইয়ের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটাই তো অন্যতম উদ্দেশ্য। এখন তাই ঘটছে।’
ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘মূলত মধ্যসময়ের পর থেকেই মেলা জমে ওঠে। ছুটির দিনগুলোতেই বিক্রির ধুম পড়ে। এখনও তো সেই অর্থে ছুটির দিন আসেনি। মেলাও তো ঠিক এখনও পূর্ণতা আসেনি।’ তিনি আশাবাদী। সব ঠিক থাকলে গতবারের ন্যয় এবারও মেলা সফল হবে।
ছোট বোন সুমিকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুমি মেলা ঘুরতে এসেছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একটি স্টলে দাঁড়িয়ে বই দেখছিলেন দু’বোন। বলেন, ‘বই পড়েই তো সময় কাটে। সাহিত্যে প্রেম থাকলেই নিজের মধ্যে প্রেম অনুভব জাগ্রত হয়। নতুন বইয়ের খবর নিতে এসেছি। আসবো আরও ক’দিন। কিনবো শেষ বেলায়। ভালো বই কিনতে হলে তো এতটুকু অপেক্ষা করতেই হয়।’
Advertisement
মেলা পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব জালাল আহমেদ। বলেন, ‘পাঠক আসছে। মেলা ঘুরে দেখছে সবাই। মেলার সৌন্দর্য তো এটিই। বেশির ভাগ পাঠকই তো বই মেলার শেষের দিকে কিনে থাকেন। এবারও তাই হবে হয়ত। আর বাণিজ্যমেলা তো সবে শেষ হলো। জমে উঠবে পরের সপ্তাহ থেকেই, এমটি আশা করতেই পারি।’
ব্যাংকার আবু তালহা শামীম স্ত্রী কেয়াকে নিয়ে মেলা ঘুরতে এসেছেন সন্ধ্যার পর। বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির পর থেকেই মেলাকে আপন জেনে আসছি। প্রাণের মেলায় না আসলে আড্ডাবেলা ঠিক জমে ওঠে না। এমন আড্ডার মধ্য দিয়ে দুই একটি বই কেনাও হয় বটে। বই কিনে থাকি শেষের দিকে। তবে ভালো বই চোখে পড়লে হাতছাড়া করি না।’
এএসএস/এমএইচ/এসএইচএস/আইআই
Advertisement