জনতা ব্যাংকের নিয়মবহির্ভূত ঋণ প্রদানের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Advertisement
তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমিও জেনেছি। এসব ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় আমার সে ব্যবস্থাই গ্রহণ করব।
সোমবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরে ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
জানা গেছে, এক গ্রাহককেই মাত্র ৬ বছরে জনতা ব্যাংক ঋণ দিয়েছে ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। নিয়মনীতি না মেনে এভাবে ঋণ দেয়ায় বিপদে পড়েছে ব্যাংক। গ্রাহকও ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না।
Advertisement
জনতা ব্যাংকের মোট মূলধন ২ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেয়ার সুযোগ আছে। অর্থাৎ এক গ্রাহক ৭৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পেতে পারেন না। দেয়া হয়েছে মোট মূলধনের প্রায় দ্বিগুণ।
ব্যাংক দেখভাল করার দায়িত্ব যাদের, সরকারের নিয়োগ দেয়া সেই পরিচালনা পর্ষদই এই বিপজ্জনক কাজটি করেছে। হল-মার্ক ও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির পর এটিকেই পারস্পরিক যোগসাজশে সাধারণ মানুষের আমানত নিয়ে ভয়ঙ্কর কারসাজির আরেকটি বড় উদাহরণ বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। তারা বলছেন, এটি একক ঋণের বৃহত্তম কেলেঙ্কারি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারকাতের সময় এ অর্থ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ বছর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আবুল বারকাতের ঋণ গ্রহীতার বিষয়ে স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন পার্টি ভালো। দেখা যাক কি হয়।
Advertisement
এমইউএইচ/জেএইচ/আরআইপি