নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী মোনালিসা মুনাকে (১২) ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলেও এখনও অভিযুক্ত সাঈদকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
Advertisement
স্কুলছাত্রীকে হত্যার পর দেয়ালে নাম লিখে আত্মগোপনে থেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত সাঈদ। তবে পুলিশ বলছে, এখনও সাঈদ দেশ ছেড়ে পালাতে পারেনি। আর যদি দেশ ছেড়ে পালিয়েও যায় তাহলে তাকে বিদেশ থেকে আনার ব্যবস্থা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, স্কুলছাত্রী মুনা হত্যার ঘটনায় খুনি সাঈদকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নামবে দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মোনালিসা মুনা মেধাবী ছাত্রী ছিলেন।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি কামাল উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রী মোনালিসা মুনার হত্যার পরই ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ খুনিকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্যের উদঘাটন ও খুনি সাঈদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
Advertisement
সাঈদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে কি-না জানতে চাইলে ওসি বলেন, এখনও সাঈদ দেশ ছেড়ে পালাতে পারেনি। তবে পালিয়ে গেলেও আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশ থেকে তাকে গ্রেফতার করে দেশে আনা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার আমবাগান এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে দুবাই প্রবাসী সাইদ বিয়ে করার আগে তারই বাড়ির পাশের কিশোরী মোনালিসা মুনাকে বিয়ে করতে তার মা-বাবার কাছে প্রস্তাব দেয়।
মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি তারা। পরে দুবাই প্রবাসী সাঈদ পাশের মহল্লার ইভা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার বাংলাবাজার আমবাগান এলাকায় মুনার বাড়িতে আসে একই এলাকার সাঈদ। মুনাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
Advertisement
ওই সময় মুনার বাবা শাহীন বেপারী মা মরিয়ম বেগম নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় যায়। তখন বাড়িতে মুনা ও তার ছোট ভাই শাহেদ হাসান (৯) ছিল।
এ সময় বাড়ির ভাড়াটিয়াদের হুমকি দিয়ে যায় সাঈদ। যাতে বেশি বাড়াবাড়ি না করে। পরে ভাড়াটিয়ারা শাহিনকে খবর দিলে দ্রুত চলে আসে। তার আগে এলাকার লোকজন মুনার মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত মোনালিসা মুনার বাবা শাহিন বেপারী বাদী হয়ে সাঈদকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/জেআইএম