আবাহনীর জালে ৩ গোল দেয়ার কৃতিত্ব দেখানো দলটি যদি স্বাধীনতা কাপের ট্রফি হাতে উল্লাস করে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। টুর্নামেন্ট বিদেশিমুক্ত বলে সবই সম্ভব।
Advertisement
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সমর্থকদের মনে সেই স্বপ্নই উঁকিঝুকি দিচ্ছে। আর মাত্র ২ ম্যাচ জিতলেই প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা কাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পারবে ক্লাবটি। মারুফুল হকের শিষ্যরা তা পারবে তো?
ট্রফি জিতলে সেটাই কেবল আরামবাগের জন্য প্রথম হবে না, প্রথম তাদের ফাইনালে উঠাও। ফাইনালে ওঠার দৌঁড়ে দলটির সামনে বাধা শেখ জামাল। যারা বেশ শক্তিশালী, প্রিমিয়ার লিগ রানার্সআপ। তাই বলে আবাহনীর মতো তো নয়?
বারবার আবাহনীর নাম চলে আসার কারণও আছে। ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকেই যে কোয়ার্টার ফাইনালে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিতে উঠেছে আরামবাগ। সোমবার বিকেল ৪ টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শেখ জামালকে মোকাবেলার আগে আবাহনীকে হারানোর স্মৃতিটাই তরতাজা থাকবে আরামবাগের খেলোয়াড়দের মনে।
Advertisement
মারুফুল হক অবশ্য আগের ম্যাচটির ফল মনে রাখতে চান না। তবে ওই ম্যাচে শিষ্যরা যে পারফরম্যান্স করেছে তা ধরে রাখতে চান। আরামবাগরে কোচ বলেন, ‘শেখ জামাল আমাদের চেয়ে শক্তিতে এগিয়ে। দুই দলের শক্তির পার্থক্যটা ৬০-৪০। তাই আমার ছেলেরা আবাহনীকে হারানো আগের ম্যাচটির কথা ভুলে থাকবে মাঠে। তবে আমাদের ওই ম্যাচের পারফরম্যান্স ফিরিয়ে আনতে হবে এ ম্যাচেও। আমার বিশ্বাস, তারা অনুশীলনে যে কৌশল শিখেছে তা মাঠে প্রয়োগ করতে পারবে। যদি তারা সেটা পারে, তাহলে ম্যাচ জেতা সম্ভব।’ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কোচ মাহবুব হোসেন রক্সি বলেছেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়রা খুবই ক্লান্ত। লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে না পেরে তারা হতাশ। আমাদের হতাশা কাটিয়ে উঠতে হবে। খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি, গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে আমার খেলোয়াড়রা কঠিন পরিশ্রম করে আরামবাগ-বাধা পার হতে পারবে, ফাইনালে পা রাখবে।’
আরআই/এমএমআর/আরআইপি