বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, ক্যান্সারের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সত্যিই উদ্বেগজনক। ভেজাল খাবার, শস্য উৎপাদনে কীটনাশকের ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ, ধূমপানসহ নানা কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
Advertisement
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লকের সামনে বটতলায় এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে এ সমাবেশের পর একটি র্যালি বের করা হয়। সকাল ৯টায় র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করে ডি ব্লকে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে বেলুন ও পায়রা উড়ানো হয়।
অনকোলজি বিভাগ আয়োজিত ওই সমাবেশে কামরুল হাসান খান বলেন, সব ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। যেকোনো ধরনের ক্যান্সার আগে-ভাগে চিহ্নিত হলে তা নিরাময়, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজি বিভাগ, হেমাটোলজি বিভাগ, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগ এবং ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে রক্ত রোগ ও ব্লাড ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমান প্রশাসন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে অনকোলজি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে আরো আধুনিকায়নসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
Advertisement
সমাবেশ ও র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলম, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, জরায়ু-মুখ-স্তন ক্যান্সার স্ত্রিনিং ও প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা, অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান ভূঁইয়া, হেমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/জেডএ/জেআইএম