বাংলাদেশের ৫১৩-র জবাবে শ্রীলঙ্কার ৭১৩। বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পর এ ম্যাচটি জয়ের ভালো সুযোগ ছিল শ্রীলঙ্কার। কিন্তু মুমিনুল হক আর লিটন দাস সব রোমাঞ্চে জল ঢেলে দিলেন। প্রতিপক্ষ দলের হয়েও তাই বাংলাদেশের এ দুই ব্যাটসম্যানকে প্রশংসায় না ভাসিয়ে পারলেন না দিমুথ করুণারত্নে।
Advertisement
প্রথম ইনিংসে ২০০ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনে ৮১ রানে ৩টি উইকেট হারিয়ে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তখনও ১১৯ রানে পিছিয়ে ছিল টাইগাররা। পঞ্চম দিনের উইকেটে দাঁড়িয়ে ম্যাচটা তারা বাঁচাতে পারবে কি-না, সেই শঙ্কা ছিল।
পঞ্চম দিনে খেলতে নেমে সেই শঙ্কা একেবারে ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন মুমিনুল আর লিটন। চতুর্থ উইকেটে ১৮০ রানের বড় জুটিতে লঙ্কানদের সব আশা ভরসা শেষ করে দিলেন এ যুগল। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৩০৭ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই পক্ষ।
ম্যাচ শেষে তাই অবধারিতভাবেই একটি প্রশ্ন ছুটে গেল শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি হয়ে আসা দিমুথ করুণারত্নের দিকে-এমন ড্রয়ের পর হতাশ কি-না? জবাবে করুণারত্নে বলেন, 'বাংলাদেশ ৫০০-এর ওপর রান তুলেছিল বোর্ডে। তবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ৭০০-এর বেশি করে দারুণ সামর্থ্য দেখিয়েছে। বড় স্কোর করে আমাদের ছেলেরা তাদের চাপে ফেলেছে।'
Advertisement
এমন উইকেট টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়, মত করুণারত্নের। আসল হতাশাটা ফুটে উঠেছে তার পরের মন্তব্যেই, 'আমার মনে হয় না, এটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ভালো উইকেট। কেননা এখানে ১৫০০ রান হয়েছে। বোলারদের জন্যও তো কিছু থাকা উচিত। আশা করছি, পরের টেস্টে ৫০-৫০ উইকেট পাব।'
উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল। তাই বলে মুমিনুল হক আর লিটন দাসের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি করুণারত্নে। তিনি বলেন, 'মুমিনুল যেভাবে দুই ইনিংসে ব্যাটিং করেছে, তাকে কৃতিত্ব দিতে হবে। পঞ্চম দিনের সকালের সেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদি আমরা দুই একটি উইকেট নিতে পারতাম, তবে সুযোগ থাকতো। মুমিনুল আর লিটন এদিন আসলেই ভালো খেলেছে।'
এমএমআর/আইআই
Advertisement