রিকশাচালক খায়রুল। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। দুই ছেলে, এক মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে সংসার তার। স্ত্রী সন্তানরা গ্রামের বাড়িতে গেছে ঈদ করতে, যাননি খায়রুল। ঈদের সময়টাতে রিকশা চালিয়ে কিছু টাকা আয় হবে। অন্যদিকে বাড়ি যেতে গাড়ি ভাড়ার টাকাটা সাশ্রয় হবে এই আশা ছিল তার। তবে সাশ্রয় যেন আর থাকলো না। সোমবার দুপুরে আগুনের লেলিহান শিখায় সব পুড়ে গেছে এই মানুষটির। একইভাবে পুড়ে ছাই হয়েছে আমিরের সংসারের সব। খায়রুল জানান, তিনি তার পরিবারকে ঈদের আগের দিন বাড়িতে পাঠিয়েছেন। শুধু নিজে ঢাকায় থেকে গেছেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে তিনি রিকশা নিয়ে বের হন। কিন্তু দুপুরে সব শেষ হয়ে গেল তার। অন্যদিকে টেলিফোনে আমির আলী তার ঘর পুড়ে যাওয়ার খবর জানাচ্ছিলেন কাউকে। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল; তার অশ্রু যেন বৃষ্টির বর্ষণের চাইতেও বেশি বেগে প্রবাহিত হচ্ছিল। সরেজমিনে প্রাণহানির ঘটনার কোন তথ্য মেলেনি। তবে দু’একজন প্রাথমিকভাবে তাদের নিকটজনদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন।গিয়াস উদ্দিন নামের এক মাইক্রোবাস চালক তার দুই মেয়ে ও স্ত্রীর কোনো খোঁজ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। স্বজনদের খুঁজে না পেয়ে ক্রন্দনরত একজন মধ্যবয়সী নারী জানান, মেয়ে ও নাতির কোন খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক নুরুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমরা কোন প্রাণহানির খবর পাইনি। তিনি বলেন, পানির সংকট আর জনতার ব্যাপক উপস্থিতির কারণে আমাদের কাজ করতে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এদিকে আগুনের ব্যাপকতায় আশেপাশের ভবনগুলো থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়। এসএ/এসএইচএস/এমআরআই
Advertisement