দেশজুড়ে

স্কুলছাত্রীকে হত্যার পর দেয়ালে নাম লিখে গেল খুনি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী মোনালিসা মুনার (১২) মৃত্যুর রহস্য খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মুনাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

Advertisement

মুনার ঘরে কে প্রবেশ করেছে এবং কে বাহির হয়েছে পুলিশ তা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে মুনাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে লাশটি ফ্যানের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রাখা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এমন তথ্য উদঘাটন করেছে।

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসিসহ কয়েকজন সিনিয়র অফিসার নিহতের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে। আর ঘাতক মুনার রক্ত দিয়ে পাশের বাড়ির একটি দেয়ালে তার নিজের নাম লিখে যায়।

নিহত মুনা ফতুল্লার বাংলাবাজার আমবাগান এলাকার শাহীন বেপারীর মেয়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থানার আরিয়লে। সে ফতুল্লার দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

Advertisement

এঘটনায় শনিবার বিকেলে নিহত স্কুলছাত্রী মোনালিসা মুনার বাবা শাহীন বেপারী বাদী হয়ে একই এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে দুবাই প্রবাসী সাইদের (৩০) বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। সাইদ ঘটনার পর তার স্ত্রী ইভাকে (২৫) একই এলাকায় শশুর বাড়িতে রেখে আত্মগোপন রয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল শরফুদ্দিন নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আশ্বাস দেন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি কামাল উদ্দিন জানান, ঘটনার পর আমরা মুনার মৃত্যুটি রহস্যজনক হিসেবে নিয়েছিলাম। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মাথায় মৃত্যুর রহস্যের উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। তারপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুরোপুরি তথ্য উদঘাটিত হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার বাংলাবাজার আমবাগান এলাকায় মুনার বাড়িতে আসে একই এলাকার সাঈদ। পরে মুনাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে বাসা হতে বের হয়ে যায়। এসময় মুনার বাবা শাহীন বেপারী মা মরিয়ম বেগম নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় যায়। তখন বাড়িতে মুনা ও তার ছোট ভাই শাহেদ হাসান (৯) ছিল।

এসময় বাড়ির ভাড়াটিয়াদের হুমকি দিয়ে যায় সাঈদ। যাতে বেশি বাড়াবাড়ি না করে। পরে ভাড়াটিয়ারা শাহিনকে খবর দিলে দ্রুত চলে আসে। তার আগে এলাকার লোকজন মুনার লাশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

শাহাদাত হোসেন/এমএএস/আরআইপি