চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন। বিগত ৬ ধরে তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করলেও শনিবার ৩য় দিনের মত অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এ কর্মসূচি পালনকালে এ পর্যন্ত ৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন সংগঠনের মুখপাত্র সঞ্জয় দাস।
Advertisement
অনশনে অংশ নেয়া চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, দেশের মানুষের গড় আয়ু যখন ৪৫ ছিল তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭, যখন ৫০ ছাড়ালো তখন প্রবেশের বয়স ৩০ করা হয়। বর্তমানে গড় আয়ু ৭২ বছর হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স এখনও অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। সরকারি নিয়ম অনুসরণ করার ফলে বেসরকারি ব্যাংকসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে জনবল (অভিজ্ঞতা ছাড়া) নিয়োগ দেয় না। ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রেও কর্মের সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, তাই চাকরির বয়সসীমা অবশ্যই ৩৫ বছর করা উচিত।
তারা বলেন, দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে যুব সমাজকে কাজে লাগাতে হবে। আর উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা প্রয়োজন। কারণ উন্নত বিশ্বকে আমরা অনুসরণ করে শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। তদ্রূপ চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ করে দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করতে পারি।
চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছরে উন্নীতের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয় সাধারণ ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে।
Advertisement
অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত আছেন পরিষদের সদস্য সঞ্জয় দাস, হারুনুর রশিদ, সবুজ ভূঁইয়া, সুদিপ পাল, ইমতিয়াজ হোসেন প্রমুখ।
এএস/আরএমএম/এমএমজেড/এমএস