গেল দু’বছরে জার্মান নাগরিকদের বন্দুক কেনার প্রবণতা কয়েকগুণ বেড়েছে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে এই তথ্য মিলেছে। ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
Advertisement
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, প্রায় ২৩ শতাংশ জার্মান মনে করছেন দেশে নিরাপত্তার অবস্থা খুব খারাপ। যদিও একটা বড় অংশের মানুষই মনে করছেন নিরাপত্তার কোনো সমস্যা নেই জার্মানিতে৷
২০১৫ সালে যেখানে বন্দুক বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১ হাজারের মতো ২০১৭ সালে সেখানে ৫ লাখ ৫৭ হাজারের মতো বন্দুক বিক্রি হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বন্দুক ছাড়াও বেড়েছে গ্যাস স্প্রে এবং নানারকম আত্মরক্ষার সরঞ্জামের বিক্রিও। একইসঙ্গে তাইকোয়ান্দো, কারাতের মতো ক্লাসেও যাওয়া বেড়েছে জার্মানদের।
Advertisement
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জার্মানরা। এর জবাবে অনেকে বলছেন, শরণার্থী এবং বিদেশিদের ভয় পাচ্ছে জার্মানরা ৷ শরণার্থী অধ্যুষিত কোনো কোনো এলাকায় বিকেলের পর তারা যান না।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বস্তুত, গত দু’বছরে জার্মানিতে শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। বন্দুক বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে চক্রবৃদ্ধিহারে। ফলে বিশেষজ্ঞরা ধরেই নিচ্ছেন, শরণার্থীদেরই জার্মান নাগরিকদের একটি বড় অংশ হুমকি হিসেবে দেখছেন। আর এর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলেই তাদের ধারণা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের কথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র কেনা সহজ ছিল, সহজ ছিল লাইসেন্স পাওয়াও। এর ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল ‘স্ট্রিট ফাইটে’।
এনএফ/এমএস
Advertisement