খেলাধুলা

আবাহনীর ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন ভাঙলো আরামবাগ

একটা স্বপ্নের দোলায় দুলছিল আবাহনী। সে স্বপ্ন ট্রেবল জয়ের। প্রিমিয়ার লিগের ১০ আসরের মধ্যে ৬ বার শিরোপা ঘরে নিলেও জেতা হয়নি এক মৌসুমে তিন-তিনটি ট্রফি। ফেডারেশন কাপ ও প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আবাহনী ও ট্রেবল শব্দ দুটি আলোচনায় এসেছিল। ধানমন্ডির ক্লাবটির এবার ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল- এমনটিই ভেবেছিল অনেকে।

Advertisement

কিন্তু আকাশী-হলুদদের সে স্বপ্ন থেমে গেলো স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আবাহনী ৩-০ গোলে হেরেছে মারুফুল হকের দলের কাছে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় দ্রুত মাঠ ছেড়ে ড্রেসিং রুমে গিয়ে মাথা নিচু করে বসেছিলেন আবাহনীর কোচ ও খেলোয়াড়রা। অন্য দিকে হৈ-হুল্লোড় করে ডাগআউট মাতিয়ে রাখেন আরামবাগের খেলোয়াড় এবং অফিসিয়ালরা।

আবাহনীকে হারানো সহজ কথা নয়- পুরো মৌসুমে তাদের পারফরম্যান্স সে সার্টিফিকেটই দিয়েছিল! তবে ম্যাচের পর আরামবাগের কোচ মারুফুল হকের কথায় মনে হলো আবাহনীকে হারানো যে কঠিন না- সেটা মাঠে প্রমাণও করে দিয়েছেন তার শিষ্যরা। জয়টাকে যেন স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলেন দেশের অভিজ্ঞ এ কোচ। তাই তো ম্যাচের পর খুশির বন্যা বয়ে যাওয়া ডাগআউটের সামনে মারুফুল হককে আবিস্কার করা হলো একজন স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে। কিছুক্ষণ আগে যে আবাহনীকে হারিয়ে তার দল উঠেছে সেমিফাইনালে- তার কোনো আভাই যে ছিল না কোচের মুখমন্ডলে!

আপনি কী ভেবেছিলেন এমন ম্যাচটি জিততে পারবেন? ‘খেলোয়াড়দের আমি আগেই বলেছিলাম, আবাহনীকে হারানোর ক্ষমতা তোমাদের আছে। কারণ, মৌসুমে আমাদের খেলার উন্নতি সেটাই বলছে। ছেলেরা প্রমাণও করেছে সেটা’- ম্যাচের পর আরামবাগের কোচ মারুফুল হক।

Advertisement

তাই বলে ৩-০ গোলে? মারুফুল হকের জবাব, ‘আমার ধারণা ছিল, গোল একটা হলেও তিনটেও হতে পারে। আবাহনী বড় দল, এ মৌসুমে দুটি ট্রফি জিতেছে; কিন্তু একটা জিনিস দেখবেন লিগের দুটি ম্যাচ তাদের বিরুদ্ধে আমরা ডমিনেট করে খেলেছিলাম। আমার আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা ওখানেই।’

আবাহনীকে এভাবে সহজে হারানোর পর নিশ্চয়ই এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ভাবছেন? ‘আমি ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবি। আমাদের প্রথমত সেমিফাইনাল জিততে হবে, তারপর ফাইনালের কথা। আর আবাহনীকে হারিয়েছি বলে যে চ্যাম্পিয়ন হবো সেটা এখন ভাবছি না। আমার মাথায় এখন সেমিফাইনাল’- জবাব মারুফুল হকের।

ম্যাচের ৩ গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৬২ মিনিটে অধিনায়ক সুফিয়ান সুফিলের গোলে এগিয়ে যায় আরামবাগ। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া আবাহনী কয়েকটি সুযোগ কাজে পেয়েও কাজে লাগতে পারেনি। উল্টো ৮১ মিনিটে জুয়েল রানার গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আরামবাগ। ৮৫ মিনিটে শাহরিয়ার বাপ্পীর তৃতীয় গোলের পর ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আবাহনী।

আরআই/আইএইচএস/আইআই

Advertisement