রাজনীতি

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিপন্ন হবে : ন্যাপ

নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা আগের আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) অ্যাক্টের ৫৭ ধারার চেয়ে আরো ভয়ঙ্কর। নতুন আইনের মাধ্যমে সরকার গণমাধ্যম বা মুক্তমনা মানুষের কথা বলার অধিকারকে খর্ব করতে চায়। শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) এসব কথা বলেছে।

Advertisement

দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া ওই বিবৃতিতে বলেন, ‘নতুন এই আইনের ফলে সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হবেন, গণমাধ্যম স্বাধীনতা হারাবে এবং গভীর সঙ্কটে পড়বে। অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতায় দুর্নীতিপরায়ণ গোষ্ঠী এবং সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য খুঁজে বের করতে হলে অনেক গোপন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।’

তারা বলেন, ‘৫৭ ধারা অত্যন্ত বিতর্কিত ধারা ছিল, এটা সকল সাংবাদিক ও মুক্তমনা মানুষ বাতিল চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার কেবিনেটে ৫৭ ধারা বাতিল করে যে ডিজিটাল আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে তা আরো ভয়ঙ্কর।

বর্তমান সরকার একদলীয় কায়দায় গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষেই হাঁটছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘৫৭ ধারা বাতিল করে যে ডিজিটাল আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে তা একদলীয় ধ্যানধারণা থেকেই। আমরা নতুন এ আইন প্রণয়নের তীব্র নিন্দা জানাই।’

Advertisement

নেতৃদ্বয় বলেন, এটাকে গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে তুলনা করে শাস্তির আওতায় আনা হলে অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতা বিপন্ন হবে, দুর্নীতিবাজরা লাভবান হবে, যা কোনোক্রমেই কাম্য হতে পারে না। এ আইন পাস হলে তা একটি কালো আইন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। তাই সরকারের উচিত নতুন ৩২ ধারার মাধ্যমে যেসব বিধান প্রবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা।

এমএম/জেডএ/পিআর