বাঁশির সুরে যুগে যুগে রচিত হয়েছে কত কত প্রেমের জাল। কৃষ্ণের বাঁশির সুরে যেমন উতলা হতো রাধার মন তেমনি গ্রিক দেবতা অরফিউসের সুরের মুর্ছনায় নেচে উঠত গাছপালা প্রকৃতি। প্রাচীন রূপকথাতেও বাঁশির প্রসঙ্গ এসেছে বিভিন্ন ভাবে। কিন্তু ১৪ বছর বয়সের কিশোর বাবুল তংলার বাঁশির সুর তার বেঁচে থাকার অবলম্বন।
Advertisement
জেলার কুলাউড়া উপজেলার গাজীপুর চা বাগানের ৭নং লাইনের অতিদরিদ্র চা শ্রমিক রাখাল তংলার ছেলে বাবুল তংলা। সে জন্মান্ধ। পৃথিবীর আলো, রূপ দেখেনি কোনোদিন। ছোটবেলা থেকেই হাতে নিয়েছে বাঁশি। হাটে-ঘাটে স্টেশনে বাঁশি বাজায় সে। বিমুগ্ধ শ্রোতারা অবাক হয়ে শােনে তার বাঁশির সুর। আর তা থেকে উপার্জিত অর্থে চলে তাদের ৫ সদস্যের সংসার।
বাবুল তংলার মা-বাবা গাজিপুর চা বাগানের অনিয়মিত শ্রমিক। একজন চা শ্রমিকের রোজ আয় ৮৫ টাকা। সামান্য টাকায় সংসারের চাকা চলে না। তাই নির্ভর করতে হয় বাবুলের বাঁশির উপর।
বাবুল জানায়, প্রাতিষ্ঠানিক সব রকমের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হলেও নিজ প্রতিভা গুণে এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে চায় সে। তার স্বপ্ন ভালো গুরুর কাছে শিক্ষা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত যন্ত্রশিল্পী হওয়ার। সহযোগিতা পেলে সে অনেক বড় মাপের বংশীবাদক হতে পারবে।
Advertisement
এফএ/পিআর