আমাদের শারীরিক সুস্থতার অনেকটাই নির্ভর করে মানসিক সুস্থতার ওপর। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে উত্কণ্ঠায় ভুগতে থাকলে তা শারীরিক অসুস্থতায় পরিণত হয়। সেভাবে কোনো সমস্যা না থাকলেও দেখা দিতে পারে জ্বরের উপসর্গ।
Advertisement
আরও পড়ুন : হজমে সমস্যা হলে করণীয়
মন ও শরীর গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। যদি মানসিকভাবে আমরা ভালো না থাকি, তা হলে তার প্রভাব শরীরে পড়বেই। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা সত্ত্বেও মনে হবে জ্বর হয়েছে। আলস্য, গলা শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, মাথা যন্ত্রণা, কাঁপুনি, গায়ে ব্যথা, বমি ভাব, পেট খারাপের লক্ষণ দেখা যায়। কখনও কখনও ভয়, নার্ভাসনেস, অতিরিক্ত স্ট্রেসের সমস্যাও হতে পারে।
অ্যাংজাইটি অ্যাটাক হলে শরীরে স্ট্রেসের মাত্রা বাড়ে। এর ফলে রক্তে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। হরমোন বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয়, মানসিক পরিবর্তন ঘটায়। যার ফলে কখনো মাথা ঘোরা, কখনো পেশিতে টান ধরা, দুর্বলতার মতো সমস্যা হতে থাকে। যদি আমরা অনেক দিন ধরে উৎকণ্ঠায় ভুগি তা হলে সারাক্ষণই ক্লান্ত লাগে। যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে দিয়ে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ায়।
Advertisement
আরও পড়ুন : ওজন কমাবে যে প্রোটিন
সবচেয়ে আগে প্রয়োজন কী অনুভব করছেন সেটা বোঝা। গভীর ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে নিজের চিন্তা অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন। যে বিষয়টি আপনাকে স্ট্রেস দিচ্ছে সে বিষয় নিয়ে না ভেবে অন্য বিষয় নিয়ে ভাবুন। মেজর অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের ক্ষেত্রে নিজেকে অন্তত ২০ মিনিট সময় দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement