দেশজুড়ে

নীলফামারীতে জামায়াত শিবিরের হামলায় আহত ১০

নীলফামারীর ডিমলায় জামায়াত শিবিরের হামলায় আহত ১০ হয়েছেন। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় অতিরিক্তপুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো সময় আওয়ামী লীগ ও জামায়াত শিবিরের মধ্যে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ঘেও আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডিমলা সদর ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ সর্মথক নুর বক্ত ও জামায়ত সমর্থক ফজলুল হক ওরফে বড়মাথার দীর্ঘদিন থেকে আদালতে মামলা চলে আসছিল। বোরবার বিকালে নুর বক্ত গংয়ের ফজলুল হকের জমির আমন ধানের চারা উত্তোলন করে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রাতে ফজলুল হক বড়মাথার লোকজন নুর বক্তরের গংয়ের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় নুর বক্তের ছোট ভাই অহিদুল ইসলামের ৩০ মণ ধান ও ২০ মণ চাল, আমিনুর রহমানের ৩৫ মণ ধান ও ১৫ মণ চাল, তার বাবা ইসলাম উদ্দিনের ৪ টি গরু, ৬ টি ছাগল নিয়ে যায়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অহিদুল ইসলামের মেয়ে লাকি আক্তার (১৪) গুরুতর জখম করা হয়। রাতে পুলিশ লাকি আক্তারকে উদ্ধার করে রংপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মেয়েটি জ্ঞান ফেরেনি বলে হাসপাতালে সূত্রে নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, অহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৪০), নুর বক্তের ছেলে রফিজুল ইসলাম (২৮), ইসলাম উদ্দিনের  ছেলে বাবুল ইসলাম (১৮), ভাবলু (২২), মৃত মহিমুদ্দিনের ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৭০), ছকোমুদ্দিন (৬৫), মৃত নুর আমিনের ছেলে আমিনুর রহমান (২৫), আজিজুল ইসলামের ছলে আশরাফুল ইসলাম (২০), মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৫৫)। পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে লুটকৃত ২টি গরু উদ্ধার করেছে।  ইসলাম উদ্দিনের ছেলে অহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৫ জন ও অজ্ঞাত ২০/৩০জনকে আসামি করে ডিমলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।সোমবার দুপুর ১টায় নীলফামারী সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফিরোজ কবিরের নেতৃত্ব অতিরিক্ত পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার ও লুটকৃত মালামাল উদ্ধারের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমির খান জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় কুমার পাড়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জাহেদুল ইসলাম/এসএস/এমএস

Advertisement