সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক কতজন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, ফলাফল, ভবনের অবস্থানসহ সব তথ্য থাকবে এ ওয়েবসাইটে। শুধুমাত্র প্রাইমারি এডুকেশন প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (পিইপিএমআইএস) সাইটে গিয়ে ক্লিক করলেই বিস্তারিত দেখা যাবে। শুধুমাত্র যাদের অ্যাকসেস থাকবে তারাই দেখতে পাবেন এসব তথ্য। ডিজিটাল এই ওয়েবসাইটি তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি প্রাথমিক স্কুলের ভবন নির্মাণসহ সব উন্নয়ন কাজের দীর্ঘসূত্রতা দূর হয়েছে। প্রথম দিকে মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে কয়েক মাস সময়ে লেগে যেত। সঠিক তথ্য যথা সময়ে মিলতো না।
Advertisement
বর্তমানে সারাদেশের সব স্কুলের যাবতীয় তথ্য পিইপিএমআইএস ওয়েবসাইটে রয়েছে। ক্লিক করলেই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রত্যেক স্কুলের ভৌগোলিক অবস্থানসহ সব তথ্য পাচ্ছেন। ওয়েবসাইটের তথ্যের মাধ্যমেই এখন সব উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করছেন। ফলে অর্থ এবং সময়ের অপচয় কমেছে। নেই কোনো তদবির।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন শাখার সহকারী প্রধান কর্মকর্তা মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিসহ অনেকে স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের দাবি নিয়ে আসতেন। তারা অভিযোগ করতেন, ভবন সঙ্কটের কারণে শিক্ষার্থীরা গাছের নিচে ক্লাস করে। এখন কেউ তদবির নিয়ে আসলেই ওয়েবসাইটে ঢুকে ঘটনার সত্যতা যাছাই করা হয়। ভবনের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য দেখানোর পরে অনেকে সরি বলে চলে যান।
তিনি বলেন, একটি স্কুলের উন্নয়নমূলক কাজ করতে যত ধরনের তথ্য দরকার তার সব তথ্য ওয়েবসাইটিতে রয়েছে। ভবিষ্যতে ভবন নির্মাণের প্রয়োজন হলে তার ডিজাইন ও স্থানও নির্ধারণ করে ওয়েবসাইটে আপলোড করেছেন শিক্ষকরা।’ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পিইপিএমআইএস ওয়েবসাইটে স্কুলের শ্রেণিভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা, কর্মরত নারী ও পুরুষ শিক্ষকের সংখ্যা, শিক্ষক পদের সংখ্যা ও শূন্যপদ, চালু থাকা শিফট, স্কুলের জমির পরিমাণ, জমির মালিকানার সনদ, সেনিটেশন ব্যবস্থার চিত্র, ভবন ও ক্লাস রুমের সংখ্যা, ভবন ও ক্লাস রুমের আয়তন, ধরন, নির্মাণের সময়কাল, স্কুলের ভবনের সামনের-পেছনের দিকের ও দৈর্ঘ্যের ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য দেয়া আছে।
Advertisement
এমএইচএম/এমআরএম/এমএস